Image description

বারবার গেজেট প্রকাশ ও উদ্বোধন করা হলেও অজানা কারণে চালু হচ্ছিল না চুয়াডাঙ্গার জীবননগরের দৌলতগঞ্জ-মাজদিয়া শুল্ক স্টেশনের কার্যক্রম। এই শুল্ক স্টেশন নিয়ে আশাবাদী ছিল চুয়াডাঙ্গার জীবননগরবাসী। তারা আশাহত হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন চিলাহাটি স্থলবন্দর, দৌলতগঞ্জ স্থলবন্দর (শুল্ক স্টেশন), তেগামুখ স্থলবন্দর বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এর আগে গত ২ মার্চ চারটি স্থলবন্দর পুরোপুরি বন্ধ রাখার সুপারিশ করে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়। এই স্থলবন্দরগুলো হলো নীলফামারীর চিলাহাটি, চুয়াডাঙ্গার দৌলতগঞ্জ, রাঙামাটির তেগামুখ ও হবিগঞ্জের বাল্লা।

সূত্র জানায়, ১৯৫৩ থেকে ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত দৌলতগঞ্জ-মাজদিয়া স্থলবন্দরটি শুল্ক স্টেশন হিসেবে চালু ছিল। তবে ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের কারণে এর কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। তবে মুক্তিযুদ্ধের পর ১৯৭২ সালে এর কার্যক্রম পুনরায় চালু করা হয়। তবে পরে অজ্ঞাত কারণে এই শুল্ক স্টেশনের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। 

এরপর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ১৯৯৮ সালের ১৫ জুলাই ও ২০০৯ সালের ১১ জুন প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সকল প্রকার স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে ১৯টি পণ্য আমদানির অনুমতি দেয়। ২০১৩ সালের ৩১ জুলাই চুয়াডাঙ্গার জীবননগর দৌলতগঞ্জ শুল্ক স্টেশনটিকে পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দর ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করেছিল সরকার। একই বছরের ২৪ আগস্ট তৎকালীন নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান আনুষ্ঠানিকভাবে এই স্থলবন্দরের উদ্বোধন করেন। তবে সেটিও আলোর মুখ দেখেনি। এরপর সর্বশেষ ২০২১ সালের ১৯ জানুয়ারি বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান কে এম তরিকুল ইসলাম বন্দর পরিদর্শন করেন।

জীবননগরে বাসিন্দারা জিনারুল ইসলাম বলেন, আমরা অনেক বছর ধরে আশায় ছিলাম এই স্থলবন্দর চালু হবে। তবে আমাদের আশা পূরণ হলো না।

আবাসিক হোটেলের ব্যবসায়ী আবু সাঈদ খান জুয়েল বলেন, দৌলতগঞ্জ-মাজদিয়া শুল্ক স্টেশন চালু হবে, এই আশায় আমার বাবা খান আবাসিক নামের একটি আবাসিক হোটেল চালু করেছিল ২০০০ সালের দিকে। তবে বারবার আশা দেওয়া হলেও সেটি বাস্তবায়ন হয়নি।
 
দৌলতগঞ্জ-মাজদিয়া স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফের সহ-সাধারণ সম্পাদক মাজেদুর রহমান লিটন বলেন, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে আমরা দেখেছি। তারা তাদের কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করেছে। মূলত তারা অবকাঠামো কার্যক্রম সীমিত করেছে। তবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বন্ধের কোনো ষোঘণা দেয়নি। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় যেমন তাদের কার্যক্রম সীমিত করেছে, অপরদিকে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় অবকাঠামোর একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে বলে আমাদের কাছে তথ্য আছে। আমরা এখনো দৌলতগঞ্জ-মাজদিয়া শুল্ক স্টেশন নিয়ে আশাবাদী।