ফেনী সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়ায় ছয় বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে রাসেল (১৮) নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার (২৭ আগস্ট) দিবাগত রাত ১২টার দিকে মাথিয়ারা এলাকার সোনালী ব্রিকফিল্ডের পরিত্যক্ত সেপটিক ট্যাংক থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার দুপুরে শিশুটি বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়। স্বজনরা মাইকিংসহ বিভিন্নভাবে খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পায়নি। রাত সাড়ে ১১টার দিকে স্থানীয়রা ইটভাটার কাছে শিশুটির জামা দেখতে পায় এবং পরে সেপটিক ট্যাংকের পানিতে তার মরদেহ ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করে। এ সময় ইটভাটায় কর্মরত রাসেলকে সন্দেহজনকভাবে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। রাসেল ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার কলতাপাড়া গ্রামের নূর হোসেনের ছেলে।

নিহত শিশুর খালাতো ভাই ইয়াসির আরাফাত বলেন, “মরদেহ উদ্ধারের সময় শিশুটির শরীরে কোনো কাপড় ছিল না। তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।” স্থানীয় ইউপি সদস্য নূর নবী জানান, রাসেল দুই বছর ধরে ইটভাটায় কাজ করত এবং শিশুটি তাকে পূর্ব থেকে চিনত। জিজ্ঞাসাবাদে রাসেল স্বীকার করেছে, সে শিশুটিকে খাবারের প্রলোভন দেখিয়ে ইটভাটায় এনে ধর্ষণের পর হত্যা করে মরদেহ সেপটিক ট্যাংকে ফেলে।

ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. আরিফুল ইসলাম সিদ্দিকী জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আটক রাসেলকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক ডা. কামরুজ্জামান বলেন, প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের পর হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে।