Image description

যশোরের কেশবপুরে সোনালী ব্যাংক শাখায় পর্যাপ্ত পার্কিং সুবিধা না থাকায় গ্রাহকদের নিত্যদিন ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। সেবা নিতে এসে সাইকেল বা মোটরসাইকেল রাখার নিরাপদ স্থান না পেয়ে বিড়ম্বনায় পড়ছেন তারা। এতে ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগী গ্রাহকরা।

গাজীর মোড় সংলগ্ন একটি মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় দীর্ঘদিন ধরে শাখাটি পরিচালিত হচ্ছে। এখানে প্রতিদিন সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ বেতন, ভাতা, পেনশন, সঞ্চয়পত্র, বিল প্রদানসহ নানা ব্যাংকিং সেবা নিতে আসেন। তবে শাখায় পার্কিং ব্যবস্থা না থাকায় গ্রাহকদের ব্যাংকের আশপাশের দোকান বা রাস্তার পাশে যানবাহন রাখতে হয়। এতে চুরি-ছিনতাইয়ের ঝুঁকি যেমন বাড়ছে, তেমনি গত এক বছরে অন্তত ১৫টি মোটরসাইকেল ও সাইকেল চুরির ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।

স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী উবাইদুর রহমান বলেন, প্রতিদিন কয়েক লাখ টাকার লেনদেন করি। ব্যাংকের নিচে বাইক রাখার জায়গা নেই, আর যে সামান্য জায়গা আছে সেখানে নিরাপত্তা নেই। বাধ্য হয়ে পাশের দোকানের সামনে রাখতে হয়, চুরির ভয়ে ঠিকমতো কাজ করতেও পারি না।

গ্রাহক হাফিজুর রহমান মনে করেন, ব্যাংকের শাখা এমন স্থানে স্থানান্তর করা উচিত, যেখানে পর্যাপ্ত পার্কিং সুবিধা থাকবে। একই দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ী আবু হাসান রনি, আবুল কালাম আজাদ, শহিদুল ইসলামসহ শতাধিক গ্রাহক।

গ্রাহক ইমরান হোসেন ক্বারী বলেন, প্রতিদিন টাকা পাঠাতে ব্যাংকে যাই, কিন্তু পার্কিং না থাকায় সবসময় বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। ব্যাংকের উচিত গ্রাহকের সুবিধার্থে সুরক্ষিত পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা।

এ বিষয়ে সোনালী ব্যাংক কেশবপুর শাখার কর্মকর্তারা জানান, স্থান সংকুলান না হওয়ায় বর্তমানে পর্যাপ্ত পার্কিং ব্যবস্থা করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে গ্রাহকদের চাহিদা বিবেচনায় বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।