‘প্রেমে বাধা’ পেয়ে ত্রিমোহনী ব্রিজ থেকে কিশোরীর নদীতে ঝাঁপ

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার শীতলক্ষ্যা ও সুতিয়া নদীর মোহনায় ত্রিমোহনী ব্রিজ থেকে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে লামিয়া আক্তার (১৭) নামে এক কলেজ ছাত্রী নিখোঁজ রয়েছে। বুধবার (১৩ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নান্দিয়া সাংগুন এলাকার এই ঘটনার পর টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল দুপুর আড়াইটায় ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। তবে নদীর প্রবল স্রোত ও রাত হয়ে যাওয়ায় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় অভিযান স্থগিত করা হয়।
নিখোঁজ লামিয়া আক্তার শ্রীপুরের কাওরাইদ ইউনিয়নের নান্দিয়া সাংগুন গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের মেয়ে। তিনি গফরগাঁও উপজেলার নিগুয়ারী ইউনিয়নের ক্যাপ্টেন গিয়াস উদ্দিন কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা গেছে, সকালে লামিয়া একা হেঁটে ত্রিমোহনী ব্রিজে আসেন। ব্রিজের মাঝখানে প্রায় ১০ মিনিট দাঁড়িয়ে আশপাশ তাকানোর পর হঠাৎ নদীতে ঝাঁপ দেন। স্থানীয় জেলেরা তাকে উদ্ধারের চেষ্টা করলেও নদীর প্রবল স্রোতের কারণে ব্যর্থ হন। খবর পেয়ে লামিয়ার স্বজন ও স্থানীয়রা নদীপাড়ে ভিড় করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী হাবিবুল্লাহ বলেন, “সকালে সেতুর নিচে নৌকায় আড্ডা দিচ্ছিলাম। হঠাৎ দেখি একটি মেয়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়েছে। চিৎকার করে সাঁতরে তার কাছে যাওয়ার চেষ্টা করি, কিন্তু স্রোতের কারণে পৌঁছানোর আগেই মেয়েটি পানিতে তলিয়ে যায়।”
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, লামিয়ার সঙ্গে কলেজ পড়ুয়া এক ছেলের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পরিবার এই সম্পর্ক মেনে না নেওয়ায় এবং সম্প্রতি তাকে শাসন করায় ক্ষোভে তিনি আত্মহত্যার উদ্দেশ্যে নদীতে ঝাঁপ দিতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
লামিয়ার বাবা দেলোয়ার হোসেন বলেন, “গতকাল (১২ আগস্ট) রাতে আমার মেয়ের জন্মদিন ছিল। ঝাঁকঝমকভাবে জন্মদিন উদযাপন করেছে। কী কারণে সে নদীতে ঝাঁপ দিল, তা বুঝতে পারছি না।”
শ্রীপুর মাওনা ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যারহাউস ইন্সপেক্টর এ টি এম মাহমুদুল হাসান বলেন, “জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ সকাল ১১টার দিকে ফোন পেয়ে টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল নিয়ে দুপুর আড়াইটায় ঘটনাস্থলে পৌঁছাই। নদীর প্রবল স্রোতের কারণে উদ্ধার কাজ ব্যাহত হচ্ছে। রাত হয়ে যাওয়ায় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় অভিযান বন্ধ রাখা হয়।”
Comments