শরীয়তপুরের জাজিরায় ৮ বছরের শিশু ধর্ষণের শিকার, অভিযুক্ত পলাতক

শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার সেনেরচর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডে সরকারি গুচ্ছগ্রামে গত শুক্রবার (৮ আগস্ট) বিকেলে ৮ বছর বয়সী এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। অভিযুক্ত রাজ্জাক মাদবর (৫০), সেনেরচর ইউনিয়নের আফাজদ্দিন মুন্সী কান্দি এলাকার মকিন মাদবরের ছেলে। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক রয়েছেন।
পুলিশ ও ভুক্তভোগী শিশুর স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় শিশুটি বাড়ির পাশের মুদি দোকানে যাওয়ার সময় রাজ্জাক মাদবর তাকে কেক দেওয়ার কথা বলে নিজের ঘরের সামনে ডাকেন। কেক নিতে গেলে রাজ্জাক শিশুটিকে হাত ধরে টেনে ঘরের ভেতর নিয়ে ধর্ষণ করেন। ঘটনাটি এক প্রতিবেশী নারী প্রত্যক্ষ করেন। শিশুটি দীর্ঘক্ষণ ঘর থেকে বের না হওয়ায় ওই নারী স্থানীয়দের ও শিশুর পরিবারকে খবর দেন। পরে শিশুর বাবা-মা ও স্থানীয়রা রাজ্জাকের ঘরে গিয়ে শিশুটিকে অসুস্থ অবস্থায় মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন। তার শরীরে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল।
স্থানীয়রা শিশুটিকে উদ্ধার করে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান এবং অভিযুক্ত রাজ্জাককে ঘরে আটকে রাখেন। শিশুর বাবা ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় রাজ্জাককে মারধর করতে গেলে সে সুযোগে তাকে আঘাত করে পালিয়ে যান।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাজ্জাক মাদবর দিনমজুর হিসেবে জীবিকা নির্বাহ করেন। তার স্ত্রী এক বছর আগে তাকে ছেড়ে চলে গেছেন। এরপর থেকে তিনি তিন ছেলেকে নিয়ে গুচ্ছগ্রামে বসবাস করছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শী এক নারী বলেন, “শিশুটির চিৎকার শুনে আমরা তাকে উদ্ধার করি। রাজ্জাক মাদবরকে দেখলেও সে কৌশলে পালিয়ে যায়। আমরা শিশুটিকে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই।”
শিশুর মা বলেন, “রাজ্জাক আমার মেয়ের সঙ্গে যা করেছে, তার কোনো ক্ষমা নেই। আমার মেয়ে খুব অসুস্থ, অনেক কষ্ট পাচ্ছে। আমি তার সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।”
জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত চিকিৎসক নাজিম উদ্দিন জানান, “শিশুটির শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠানো হয়েছে।”
জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাইনুল ইসলাম বলেন, “এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।”
Comments