Image description

চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার জোরারগঞ্জ থানাধীন খিরমুরালী ইউনিয়নে সন্ত্রাসীদের ত্রাসের রাজত্বে আতঙ্কে রয়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা। দিনের বেলায় মানুষ চলাচল করলেও সন্ধ্যা নামতেই ভয়ে সবাই ঘরে ফিরে যান। সন্ত্রাসী গোষ্ঠী যে কোনো মুহূর্তে কাউকে ধরে নিয়ে নির্যাতন ও চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে। এই ভয়ে সন্ধ্যার পর এলাকার নারী-পুরুষ কেউ ঘরের বাইরে থাকেন না। অনেকেই এমন ঘটনার শিকার হলেও ভয়ে মুখ খোলেন না বা থানায় অভিযোগ করেন না।

এদিকে, সন্ত্রাসীদের ধরতে জোরারগঞ্জ থানা পুলিশের তথ্য ও অভিযানের ভিত্তিতে র‌্যাব-১৫, সিপিএসসি, কক্সবাজার ক্যাম্প গত ৯ আগস্ট রাত ২টার দিকে কক্সবাজার সদর থানার লাবনী পয়েন্ট থেকে জোরারগঞ্জ থানার তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী মো. হকসাবকে (২৭) আটক করে। তার সঙ্গে মেহেদী নগর গ্রামের ইউসুফ প্রকাশ ডাক্তার (২৬), খিলমুরালী গ্রামের মো. আবু সাইদ (২৭) এবং পূর্ব হিঙ্গুলী কদম তলা এলাকার এমরান হোসেনকে (২৭) আটক করে র‌্যাব-৭ ফেনী ক্যাম্পে হস্তান্তর করা হয়।

র‌্যাব ফেনীর জিজ্ঞাসাবাদে মো. হকসাবের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তার গোপন হেফাজত থেকে ২টি ওয়ান শুটারগান এবং ৪টি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। জোরারগঞ্জ থানা পুলিশ জানায়, মো. হকসাবের বিরুদ্ধে র‌্যাব-৭ কর্তৃক অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ১টি মাদক মামলায় ১ বছরের সাজা ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানাসহ ৩টি পৃথক মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। সর্বমোট ২৪টি মামলার আসামি সে। অন্য আটককৃতরাও জোরারগঞ্জ থানার একাধিক মামলার এজাহারভুক্ত ও সন্দিগ্ধ আসামি।

জোরারগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আবদুল হালিম বলেন, “জোরারগঞ্জ থানা এলাকাকে সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজিমুক্ত করতে আমাদের নিয়মিত বিশেষ অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করলে এবং জনসাধারণ সহযোগিতা করলে এই অভিযান আরও জোরদার হবে।” তিনি জানান, ধৃত আসামিদের বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।