Image description

ছাত্র জনতার ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থান দিবসের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে বিজয় র‍্যালি ও সমাবেশ করেছে উপজেলা বিএনপি। প্রবল বর্ষণের মাঝেও নেতাকর্মীদের উদ্দীপনা ছিল চোখে পড়ার মতো।

মঙ্গলবার সকাল ১১টায় বসুরহাট বাজারের রূপালী চত্বর থেকে র‍্যালিটি শুরু হয়। বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে জড়ো হন শত শত নেতাকর্মী। দলীয় পতাকা, ব্যানার ও স্লোগানে মুখরিত ছিল পুরো শহর। র‍্যালি টি বাজারের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা পরিষদ চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।

র‍্যালি শেষে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক বজলুল করিম চৌধুরী আবেদ।

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, নোয়াখালী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহবুব আলমগীর আলো, যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এবিএম জাকারিয়া, সদস্য সচিব হারুনুর রশীদ আজাদ, সদস্য অ্যাডভোকেট আবদুর রহমান, সাবেক সভাপতি গোলাম হায়দার বিএসসি এবং উপজেলা বিএনপির সাবেক নেতা হাসনা জসিম উদ্দিন মওদুদ।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন, বিএনপি নেতা নুরুল আলম শিকদার এবং সঞ্চালনায় ছিলেন বসুরহাট পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি আবদুল মতিন লিটন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ফোরকান ই আলম, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট শাহদৎ হোসেন, অ্যাডভোকেট আজম খান, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি কামরুজ্জামান হাফিজ, উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুর রহমান রিপনসহ জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।

বক্তারা বলেন, “দলীয় সাইনবোর্ড ব্যবহার করে অনিয়ম চলবে না। বিএনপিকে ক্ষমতায় যেতে বাধা দিতে দেশি-বিদেশি নানা ষড়যন্ত্র চলছে। এখনই সময় ঐক্যবদ্ধ হবার, দল যাকে মনোনয়ন দেবে, সবাইকে তার বিজয়ে কাজ করতে হবে।”

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সমালোচনা করে বক্তারা বলেন, “তিনি একসময় বলেছিলেন পালাবেন না, বিএনপি মহাসচিবের বাড়িতে যাবেন। অথচ এখন নিজেই ভারতে পালিয়ে গেছেন। এ এলাকা থেকে বারবার নির্বাচিত হয়ে এই এলাকার মানুষকেই তিনি নির্যাতন করেছেন।”

তারা আরও বলেন, “যখন তিনি সীমান্ত দিয়ে পালাচ্ছিলেন, তখন বিএনপির এক যুবদল নেতা মানবিক কারণে তাকে পার হতে সাহায্য করেছিলেন। এটাই বিএনপির বড়ত্ব।”