Image description

উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার খ্যাত মোকামতলা বাজার এলাকার বগুড়া-রংপুর মহাসড়ক যেন উন্মুক্ত ডাস্টবিনে পরিণত হয়েছে। বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার মোকামতলায় মহাসড়কের উপর এমন আবর্জনার স্তূপ দেখে মনে হবে- এটা মহাসড়ক নয়, যেন ময়লার ভাগাড়। বিভিন্ন দোকানের ময়লা আবর্জনাগুলো নির্দিষ্ট কোনো জায়গায় না ফেলে স্তুপ করে রাখা হচ্ছে সড়কের উপরেই। কিন্তু নেই কোনো অপসারণ ব্যবস্থা।

মঙ্গলবার সরেজমিনে মোকামতলা বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, গোডাউন রোড থেকে সোনাতলা রোড পর্যন্ত মহাসড়কের ধীরগতি যানবাহনের লেনে জায়গায় জায়গায় ময়লার স্তুপ। দীর্ঘদিনের জমানো ময়লা-আবর্জনা অপসারণ না করায় গাড়ির চাকা ও মানুষের চলাচলে সেগুলো চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে আছে। শুধু তাই নয়, দুইদিনের বৃষ্টিতে ময়লাগুলো পানির সাথে ভেসে পুরো সড়ক নোংরা হয়ে যায়। এতে পথচারীদের ভোগান্তির পাশাপাশি নষ্ট হচ্ছে সড়কের পরিবেশ। মহাসড়কে এমন চিত্র দেখে বিরক্ত স্থানীয় ও পথচারীরা।

মহাসড়কে এসব ময়লার স্তূপের পাশ দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী, পথচারী ও স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা বিরক্তির সাথে যাতায়াত করছেন। ময়লার স্তুপের পাশে রয়েছে খাবারের হোটেল, দই-মিষ্টির দোকান, কয়েকটি বেসরকারি ব্যাংক, মোকামতলা মডেল প্রেসক্লাব, অসংখ্য যাত্রীবাহী বাস কাউন্টারসহ শত শত দোকান। মহাসড়কের পশ্চিমে অবস্থিত মোকামতলা ইউনিয়ন পরিষদ, মোকামতলা উচ্চ বিদ্যালয়, মোকামতলা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মোকামতলা মহিলা ডিগ্রি কলেজ, পরিষদ মসজিদ, ইউনিয়ন বিএনপির কার্যালয়সহ শত শত দোকান।

এস আর পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার আবু জাফর ইসলাম বলেন, "মহাসড়কে ময়লা আবর্জনা ফেলার কারণে এখানকার পরিবেশ দিন দিন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ময়লা ফেলার পর সেগুলো যদি অপসারণ করা হতো তাও একটা কথা ছিলো। কিন্তু সেগুলো তো অপসারণ করা হয় না। এই বন্দরের কিছু কিছু জায়গায় ডাস্টবিন নির্মাণ করা খুবই জরুরি।

তিনি আরও বলেন, "যেহেতু এই বাজারটা পৌরসভার অন্তর্ভুক্ত নয়। তাই প্রত্যেক দোকানদারের কাছ থেকে যদি চাঁদা তুলে ময়লা অপসারণের জন্য একজন লোক নিয়োগ করা যেত তাহলে খুবই ভালো হতো।"

মোকামতলা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ফাহিমা আক্তার মানবকণ্ঠকে জানান, এবিষয়ে আমি কিছু বলতে পারবো না। দোকানদারেরা তো সচেতন ব্যক্তি। তারা ময়লা আবর্জনা সড়কের উপর ফেলবে কেন? একটি নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা ফেললেই তো আর এই সমস্যা হয় না। প্রয়োজনে দোকানদারেরা একজন ঝাড়ুদার রাখবে।

তিনি আরও জানান, এর আগে ওখানে ডাস্টবিন দেওয়া হইছিলো। কয়েকদিন পরেই তা চুরি হয়ে গেছে।

শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান মানবকণ্ঠকে জানান, এবিষয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে শিগগিরই ময়লা অপসারণ ও ভবিষ্যতে আর যেন ময়লা না ফেলে সেই ব্যাপারে কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।