
রংপুরের পীরগাছায় পানি নিষ্কাশনের জায়গা সরু হওয়ায় তলিয়ে গেছে চার একর জমির আবাদি ফসল। একইসঙ্গে পুকুরে চাষকৃত মাছ বের হয়ে গেছে। এ ঘটনায় পানি নিষ্কাশনের জায়গা প্রশস্ত করা ও ক্ষতিপূরণ চেয়ে উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেছেন উপজেলার তাম্বুলপুর ইউনিয়নের পূর্বদেবু গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পক্ষে শহিদুল ইসলাম সহিম।
জানা যায়, ওই ইউনিয়নের তবারক আলীর ছেলে শহিদুল ইসলাম সহিম প্রায় ১৫ বছর ধরে চার একর জমি লিজ নিয়ে চাষাবাদ করে আসছেন। কিন্তু দুই বছর আগে পানি নিষ্কাশনের নালার সাথে পুকুর খনন করে পাড় দেওয়ার কারণে পর্যাপ্ত পানি বের হতে না পারায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। বৃষ্টির পানি জমে থাকার কারণে বোরো ধান সম্পূর্ণ ডুবে গেছে। এমনকি পুকুর পাড় তলিয়ে যাওয়ার কারণে লক্ষাধিক টাকার মাছ বের হয়ে গেছে।
স্থানীয় কৃষক আব্দুল আজিজ বলেন, আগে এ এলাকায় পানি জমলেও সঙ্গে সঙ্গে নেমে যেত। কিন্তু পুকুর খনন করে পাড় দেওয়ার কারণে পানি জমে থাকে। ফলে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। যদি পুকুর পাড় একটু সরিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি নালাটি সংস্কার করলে কৃষকের এমন ক্ষয়ক্ষতি হতো না। আমি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি সমাধানের জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।
ওই ব্লকের দায়িত্বে থাকা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে জায়গাটি পরিদর্শন করেছি। যদি পানি নিষ্কাশনের পর্যাপ্ত জায়গা থাকতো তাহলে কৃষি ফসল এতো নিমজ্জিত হতো না।
এদিকে পীরগাছার নদ-নদীর প্লাবনভূমি, অববাহিকাসহ নিচু এলাকার প্রায় ২০০ হেক্টর জমির ধান, বাদাম, ভুট্টা, মরিচসহ বিভিন্ন কৃষি ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে। তবে উপজেলা কৃষি অফিসার রফিকুল ইসলাম ৮৬ হেক্টর জমির কৃষি ফসল নিমজ্জিত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
Comments