Image description

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে একজন মাদ্রাসার সুপারকে লাঞ্ছিত করে চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মাদ্রাসার সুপার বাদী হয়ে সুন্দরগঞ্জ থানায় উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের উচ্চমান সহকারীসহ অজ্ঞাতনামা ৭-৮ জনের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। বৃহস্পতিবার (৮ মে) সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হাকিম আজাদ অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গত বুধবার (৭ মে) রাতে মাদ্রাসা সুপার থানায় এই অভিযোগটি নথিভুক্ত করেন।

ভুক্তভোগী মো. শহীদুর রহমান উপজেলার কঞ্চিবাড়ী ইউনিয়নের বজরা কঞ্চিবাড়ী মজিদিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার। 

অভিযোগে সূত্রে জানা যায় , গত ৫ মে দুপুর আনুমানিক ১টার দিকে অফিস সহকারী রায়হান মিয়ার নেতৃত্বে ১৫-১৬ জনের একটি দল অবৈধভাবে মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করে। এরপর তারা সরাসরি সুপারের কার্যালয়ে ঢুকে তার কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। সুপার চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে অভিযুক্তরা উত্তেজিত হয়ে তার মোটরসাইকেলের চাবি কেড়ে নেয় এবং তাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দেয়। পরবর্তীতে মাদ্রাসা সুপার জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করে পুলিশের সাহায্য চাইলে ঘটনাস্থল ত্যাগ করতে সক্ষম হন।

অভিযোগে নাম উল্লেখ করা অভিযুক্তদের মধ্যে আরও রয়েছেন মোফাকখারুল ইসলাম মঞ্জু, নুরুল আলম, রফিকুল ইসলাম রাজা, জিয়াউর রহমান, জয়নাল আবেদীন, মুনসুর আলী ও আইয়ুব আলী।

মাদ্রাসা সুপার শহীদুর রহমান বলেন, “আমি ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে এই মাদ্রাসায় সুপার হিসেবে যোগদানের পর থেকেই অভিযুক্ত ব্যক্তিরা বিভিন্ন সময়ে প্রকাশ্যে ও গোপনে আমার কাছে চাঁদা দাবি করে আসছিল। তাদের দাবিকৃত চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় তারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ তোলে এবং একপর্যায়ে আমাকে লাঞ্ছিত করার মতো ঘটনা ঘটায়।”

এ বিষয়ে সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হাকিম আজাদ জানান, “আমরা মাদ্রাসা সুপারের একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের বিষয়টি গুরুত্বের সাথে তদন্ত করা হচ্ছে এবং তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”