Image description

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার পোতাজিয়া ইউনিয়নের রাউতরা বড়াল নদীর উত্তর দিক থেকে উৎপন্ন হয়ে পূর্ব-পশ্চিমে বিস্তৃত সোনাই নদী এখন মৃতপ্রায়। একসময়ের প্রবহমান এই নদীটি নাব্যতা সংকটের কারণে বর্তমানে এটি মরা খালে পরিণত হয়েছে। যেখানে বৈশাখের শেষ লগ্নে অন্যান্য নদনদী পানিতে পরিপূর্ণ, সেখানে সোনাই নদীর তলদেশে হাঁটু জলও নেই।

এনিয়ে মঙ্গলবার (৬ মে) দুপুরে  স্থানীয় কৃষক ও জেলে সম্প্রদায় সোনাই নদীর তলদেশে দাঁড়িয়ে পানির অভাবের প্রতিবাদ জানিয়েছেন এবং দ্রুত খননের দাবি জানিয়েছেন। তাদের একটাই আশা, সরকার দ্রুত এই জনগুরুত্বপূর্ণ নদীটি খনন করে তাদের জীবিকা ও কৃষিকাজ স্বাভাবিক করবে।

স্থানীয় কৃষক ইসহাক, ফয়জাল ও ফজর আলী জানান, সোনাই নদীর দুই ধারে কয়েক হাজার হেক্টর জমিতে ধান চাষ হয়েছে। অথচ নদীতে পানি না থাকায় সেচ মৌসুমে তাদের বাড়তি খরচ বহন করতে হচ্ছে। এছাড়াও, ফসলের মাঠের পাশে কোনো রাস্তা না থাকায় নৌপথই তাদের একমাত্র ভরসা ছিল। কিন্তু নদীতে নাব্যতা সংকট দেখা দেওয়ায় নৌকা চলাচল ব্যাহত হচ্ছে, ফলে ফসল ঘরে তোলা কঠিন হয়ে পড়েছে। বিকল্প হিসেবে মহিষ ও ঘোড়ার গাড়িতে ফসল আনা-নেওয়া করতে গিয়ে তাদের পরিবহন খরচ দ্বিগুণ হচ্ছে।

গরুর রাখালরাও এই নদীর নাব্যতা সংকট নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা জানান, বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তম বাথান ভূমি এই বড়াল, ধলাই ও সোনাই নদীকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে। হাজার হাজার গরু এই নদীর পানির উপর নির্ভরশীল। একইসাথে, প্রতিদিন হাজার হাজার লিটার দুধ নৌপথে পরিবহনের একমাত্র মাধ্যম এই সোনাই নদী। তাই কৃষক ও খামারিদের বাঁচাতে দ্রুত নদীটি খনন করার জন্য তারা সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন।

এই বিষয়ে শাহজাদপুর সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মুশফিকুর রহমান জানান, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।