নির্বাচনী ইশতেহারে পরিবেশের বিষয়টি গুরুত্ব না দিলে আমাদের মুখোমুখি হতে হবে: ইকবাল হাবিব

সভাপতির বক্তব্যে গ্রিন ভয়েসের প্রধান সমন্বয়ক আলমগীর কবির বলেন, ‘স্বাধীনতার এত বছর পর, ছাত্র অভ্যুত্থানের এক বছর পরও মাঠ রক্ষার জন্য আমাদের অবস্থান করতে হবে, ভাবি নাই। ভূমিদস্যুদের লোলুপদৃষ্টি এসব মাঠ, খোলা জায়গার ওপরে।’
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা দাবিগুলো তিনি পাঠ করেন। এর মধ্যে বিদ্যমান এবং সম্ভাব্য খেলার মাঠ, পার্ক ও উন্মুক্ত স্থানগুলোর একটি বিশদ স্থানিক নিরীক্ষা পরিচালনা করা এবং তদনুযায়ী তালিকা তৈরি করা; অবৈধভাবে দখল করা খেলার মাঠ, পার্ক ও উন্মুক্ত স্থান উদ্ধার করা এবং সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের লক্ষ্যে যৌথ পরিচালন ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা; খেলার মাঠ ও পার্ক সুরক্ষা করার পাশাপাশি তাদের সংখ্যা বৃদ্ধি ও ‘আন্তসবুজ সংযোগ’ স্থাপন করা; স্থানীয় সরকারের মাধ্যমে অব্যবহৃত সরকারি বা ব্যক্তিগত জমি এবং স্কুল-কলেজের মাঠগুলোর বহুবিধ ব্যবহার নিশ্চিত করা; স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠ অব্যবহৃত থাকলে সে সময় বা ক্লাসের পর জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা; পদচারীবান্ধব সবুজ করিডর স্থাপনের মাধ্যমে পার্ক, লেক এবং সাংস্কৃতিক উন্মুক্ত স্থানগুলোকে সংযুক্তকরণ; তেঁতুলতলা মাঠকে স্থায়ীভাবে খেলার মাঠ ও উন্মুক্ত স্থান হিসেবে সংরক্ষণ উল্লেখযোগ্য।
গ্রিন ভয়েসের সহসমন্বয়ক হুমায়ুন কবিরের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ফুটবল সাপোর্টার্স ফোরামের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন, সাংবাদিক শুভ কিবরিয়া ও বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
বক্তৃতা শেষে পদযাত্রাটি প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনে যাওয়ার উদ্দেশে যাত্রা করে। তারা শাহবাগে পৌঁছালে পুলিশ বাধা দেয়। জাদুঘরের সামনে এই আয়োজন শেষ করা হয়। দুপুর ১২টার পর গ্রিন ভয়েসের পক্ষ থেকে পাঁচজন প্রতিনিধি উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দিতে যমুনায় যান।
আগামীকাল থেকে বিভাগীয় কমিশনারসহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তা বরাবর একই স্মারকলিপি দেওয়া হবে। আগামী ১৫ দিন সারা দেশে এই কার্যক্রম চলবে। পাশাপাশি ওসমানী উদ্যান, আনোয়ারা উদ্যান, পান্থকুঞ্জ পার্কসহ দখল হওয়া মাঠ রক্ষায় বিভিন্ন সমাবেশের আয়োজন করা হবে।
Comments