ঢাকার ধামরাইয়ে চুরি হওয়া মোটরসাইকেলসহ চোর চক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ধামরাই থানা পুলিশ। গতকাল (১৬ সেপ্টেম্বর) রাতে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। উপজেলার কুল্লা ইউনিয়নের ঢাকা আরিচা মহাসড়কের দক্ষিণ পাশে জয়পুরা আনোয়ার শপিং কমপ্লেক্স এর পার্কিং থেকে চুরি হওয়া ৩টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- রাজবাড়ি জেলার পাংশা থানার জীবননগর এলাকার মো. ইমরান মিয়া (২৫), একই জেলার কালুখালী থানার কালীনগর এলাকার মো. বিপুল শেখ (৩০) ও পাংশা থানার শরীশা খালপাড়া এলাকার মো. জাহাঙ্গীর জাহান বনি (২৫) এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর থানার পাহাড়িয়াকান্দি এলাকার মো. আল আমিন। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় অস্ত্র মামলাসহ একাধিক মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে বিভিন্ন মামলা রয়েছে। 

পুলিশ জানায়, গত ১৪ সেপ্টেম্বর ভুক্তভোগী মোঃ আনছের আলী বাদী হয়ে ধামরাই থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-১৮।

মামলা সুত্রে জানা যায়, গত ৩০ আগস্ট সন্ধ্যার দিকে ভুক্তভোগী তার ম্যাট কালো রংয়ের ১৫৫ সিসির মোটরসাইকেল যার মূল্য প্রায় ২লাখ টাকা মূল্যের একটি সুজুকি মোটরসাইকেল ও তার মামার ১৫৫ সিসির প্রায় ৫ লাখ ৪৫ হাজার টাকা মূল্যের ইয়ামাহা জিকএক্সআর মোটরসাইকেল ধামরাইয়ের জয়পুরার আনোয়ার শপিং কমপ্লেক্সের পার্কিংয়ে লক করে রেখে যান। ঔই রাতেই মোটরসাইকেল দুটি চুরি হয়ে যায়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী আনছের আলী ধামরাই থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন। 

সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ধামরাই থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক-(এসআই) মোঃ কাউসার সুলতান মোটরসাইকেল উদ্ধার ও আসামিদের গ্রেপ্তারের অভিযানে নামেন। গত ১৪ সেপ্টেম্বর প্রথমে আসামি ইমরানের কাছ থেকে একটি ও পরে কুষ্টিয়ায় আসামি বনি ও বিপুলের কাছ থেকে অপর মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করা হয়। এরপর গত ১৫ সেপ্টেম্বর ৭দিনের রিমান্ড চেয়ে তাদের আদালতে পাঠিয়ে দেয় পুলিশ। পরে আদালত তাদের একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তাদের দেওয়া তথ্যে গতকাল রাতে অপর আসামি ইমরানকে গ্রেপ্তার করা হয়। রিমান্ড শেষে আজ ১৭ সেপ্টেম্বর তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। 

এ বিষয়ে ধামরাই থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোঃ কাউসার সুলতান জানান , চুরির ঘটনায় অভিযোগ পেয়ে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। একপর্যায়ে রাজবাড়ি জেলায় অভিযান চালিয়ে প্রথমে একটি মোটরসাইকেল ও পরে কুষ্টিয়া জেলায় অভিযান চালিয়ে অপর মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। এ সময় তিনজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তীতে তাদের দেওয়া তথ্যে আরও একজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

তিনি বলেন, চুরিসহ যে কোনো ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে পুলিশ তৎপর রয়েছে। এ ধরনের আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের নিয়মিত অভিযান অব্যাহত থাকবে। আসামীদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।