Image description

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি)স্কুলের শিক্ষকদের বিদ্যমান ‘আপগ্রেডেশন নীতিমালা-২০১২’ বাস্তবায়নের সূচনা  হলেও সর্বশেষ  ২০১৫ সালের জাতীয় পে–স্কেল প্রণয়ন হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষকদের বৈষম্যের করা ও এ-বিষয়ে একাধিকবার আবেদন করলেও তা বাস্তবায়িত না হওয়া এবং বৈষম্যের শিকার হওয়ার অভিযোগ তুলে আন্দোলনে নেমেছেন শিক্ষকরা। 

সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় স্কুলের সামনে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।

শিক্ষকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ২০১৬ সালের জাতীয় বেতন স্কেল কার্যকর হওয়ার পর থেকে বারবার বেতন স্কেল সংশোধনের দাবি জানানো হলেও তা সমাধান হয়নি। একাধিকবার প্রশাসনের কাছে আবেদন করা হলেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল শাখার শিক্ষক সমিতির সভাপতি আশুতোষ ব্যানার্জি বলেন, আমরা বছরের পর বছর ধরে বৈষম্যের শিকার হচ্ছি। একই ধরনের দায়িত্ব পালন করলেও প্রাপ্য সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। পরিবার-পরিজন নিয়ে আমাদের দুর্বিষহ জীবন কাটছে। এই দাবি পূরণের জন্য প্রশাসনকে আমরা বারবার অনুরোধ করেছি, কিন্তু কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি।

তিনি আরও বলেন, আমাদের ন্যায্য অধিকার আদায়ে আন্দোলন ছাড়া আর কোনো পথ খোলা নেই।

আরেকজন শিক্ষক জান্নাতুন নাহার রুনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আজকে আমাদের শ্রেণীকক্ষে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করার কথা ছিল। অথচ যৌক্তিক দাবি আদায়ের জন্য আমরা রাস্তায় দাঁড়াতে বাধ্য হচ্ছি। শিক্ষকতা শুধু একটি পেশা নয়, এটি আমাদের দায়িত্ব ও ভালোবাসার জায়গা। কিন্তু এর পাশাপাশি রুজিরোজগার, পদ-পদবি ও মর্যাদার বিষয়ও জড়িয়ে আছে।

তিনি আরও বলেন, দীর্ঘদিনের বৈষম্য ও অবহেলার কারণে আজ আমরা আন্দোলনে নেমেছি। আমাদের দাবি পূরণ না হলে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবনও ক্ষতিগ্রস্ত হবে, যা আমরা কেউই চাই না।

উল্লেখ্য, শিক্ষকদের দাবি পূরণ না করা হলে আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর সোমবার আংশিক কর্মবিরতি ও মানববন্ধন এবং ২২ ও ২৩ সেপ্টেম্বর টানা দুই দিন পূর্ণদিবস কর্মবিরতি ও অবরোধ কর্মসূচি পালন করার এবং এছাড়া ১৪ অক্টোবরের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে ১৫ অক্টোবর থেকে লাগাতার পূর্ণদিবস কর্মবিরতি ও অবরোধ কর্মসূচির ঘোষণা দেন তারা