Image description

মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (মাভাবিপ্রবি) শৃঙ্খলা ভঙ্গ, শিক্ষার্থীদের শারীরিক-মানসিক নির্যাতন, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও শিক্ষা পরিবেশ বিঘ্নিত করার অভিযোগে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের ১৯ নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এর মধ্যে ৪ জনকে আজীবন, ১ জনকে ৫ সেমিস্টার, ৭ জনকে ৪ সেমিস্টার এবং ৭ জনকে ৩ সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. মোহা: তৌহিদুল ইসলাম রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, গত ২৭ আগস্ট অনুষ্ঠিত ২৫০তম রিজেন্ট বোর্ড সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

তদন্ত ও বহিষ্কার

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, গত ১৭ আগস্ট ২০২৪ সাধারণ শিক্ষার্থীদের অভিযোগের ভিত্তিতে ৩ সেপ্টেম্বর ২৪৭তম জরুরি রিজেন্ট বোর্ড সভায় ১৯ জনকে সাময়িক বহিষ্কার করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। পুনর্গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন ও অভিযোগ-প্রমাণ বিশ্লেষণের পর ২৭ জানুয়ারি ২০২৫-এর ২৪৮তম সভায় ১৯ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে চূড়ান্ত শাস্তি দেওয়া হয়। বহিষ্কৃতদের ক্যাম্পাসে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

বহিষ্কৃতদের তালিকা

আজীবন বহিষ্কার: মানিক শীল (ইএসআরএম), মো. হুমায়ুন কবির (অর্থনীতি, ২০১৬-১৭), শাওন ঘোষ (অর্থনীতি, ২০১৭-১৮), মো. সাদিক ইকবাল (পদার্থবিজ্ঞান, ২০২০-২১)।
৫ সেমিস্টার: রায়হান আহমেদ শান্ত (পদার্থবিজ্ঞান, ২০১৮-১৯)।
৪ সেমিস্টার: খালেকুজ্জামান নোমান (অর্থনীতি), সাখাওয়াত আহমেদ শুভ্র, মো. আব্দুল্লাহ সরকার উৎস, মো. আবিদ হাসান (গণিত), রানা বাপ্পি, মো. যোবায়ের দৌলা (রসায়ন), নাহিদ হাসান (ব্যবস্থাপনা)।
৩ সেমিস্টার: সুজন মিয়া, নাঈম রেজা (অর্থনীতি), জাহিদ হাসান, রিফাত হোসেন (হিসাববিজ্ঞান), ইমতিয়াজ আহমেদ রাজু, ইমরানুল ইসলাম (সিপিএস), মো. আনোয়ার হোসেন (পদার্থবিজ্ঞান)।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বক্তব্য

প্রক্টর মো. ইমাম হোসেন জানান, নিয়মতান্ত্রিক তদন্ত কমিটির সুপারিশ ও উচ্চ পর্যায়ের অনুমোদনের ভিত্তিতে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, “শৃঙ্খলা রক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয় কঠোর অবস্থানে রয়েছে।”

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বহিষ্কৃতরা সবাই নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এ ঘটনায় ক্যাম্পাসে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এই পদক্ষেপকে সাধারণ শিক্ষার্থীরা স্বাগত জানিয়েছেন।