Image description

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে গ্রামবাসীর সংঘর্ষের ঘটনার তিন দিন পর ১ হাজার ৯৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলায় ৯৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, যাদের অধিকাংশ নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মী। আসামির তালিকায় আছেন বিশ্ববিদ্যালয়ে কয়েক কর্মচারীও। মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে আরও এক হাজার ব্যক্তিকে।

গতকাল মঙ্গলবার হাটহাজারী থানায় মামলাটি করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার (নিরাপত্তা) আবদুর রহিম। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, হানিফ, ইকবাল, রেজাউল, সারোয়ার, খোরশেদ, সোলাইমান, শাকিল, মহিউদ্দিন, আরমান, জিসান তাদের হাতে থাকা রামদা, কিরিচ দিয়ে ছাত্র মামুন ও সায়েমকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করেছে। নাইমুলকে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে দিয়েছে। তারা হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে।

এজাহারে যুবলীগ নেতা হানিফ ও তাঁর ভাই ইকবালের নেতৃত্বে পরিকল্পিতভাবে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগ আনা হয়েছে। হামলায় তিনটি গাড়ি ও একটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়, যাতে পাঁচ লাখ ৩৫ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।

এক ছাত্রীকে ভাড়া বাসার দারোয়ান মারধরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হয় বলে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করলেও মামলার এজাহারে তা উল্লেখ করা হয়নি। এতে বলা হয়েছে, দারোয়ানের সঙ্গে ওই ছাত্রীর কথা কাটাকাটি হয়েছিল।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামীম খান বলেন, ‘সংঘর্ষের তিন দিন পার হলেও হানিফ ও তাঁর বাহিনীর সদস্য কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।’ 

হাটহাজারী থানার ওসি আবু মাহমুদ কাওসার হোসেন বলেন, ‘জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’

বিশ্ববিদ্যালয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল যুবলীগ নেতা হানিফের। বিশ্ববিদ্যালয় ঘিরে নানা অবৈধ বাণিজ্যে জড়িত ছিল তাঁর বাহিনী। তিনি গা-ঢাকা দিলেও তাঁর বাহিনীর সদস্যরা এখনও সক্রিয়।