Image description

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শিক্ষার্থী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে টানা তিন ঘণ্টা ধরে সংঘর্ষ চলছে। রোববার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে শুরু হওয়া এই সংঘর্ষে উভয় পক্ষ ইটপাটকেল নিক্ষেপ করছে, ফলে কমপক্ষে ১০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো উপস্থিতি না থাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ব্যর্থ হয়েছে।

সংঘর্ষের সূত্রপাত গত শনিবার মধ্যরাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেট এলাকায় এক ছাত্রীকে মারধরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, একটি ভবনের দারোয়ান ওই ছাত্রীর সঙ্গে তর্কের পর তাঁকে মারধর করেন। এরপর শিক্ষার্থীরা দারোয়ানকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গেলে স্থানীয়রা তাঁদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে, যা সংঘর্ষে রূপ নেয়। রাতভর সংঘর্ষে প্রায় ৭০ শিক্ষার্থী আহত হন, যাদের মধ্যে ২১ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

রোববার সকালে পরিস্থিতি থমথমে থাকলেও দুপুরে শিক্ষার্থীরা ২ নম্বর গেট এলাকায় জড়ো হলে ফের স্থানীয়দের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিনসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পরিস্থিতি শান্ত করতে চেষ্টা করলেও সফল হয়নি।

চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) রাসেল জানান, ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলছে। তবে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, পুলিশের উপস্থিতি ছিল নগণ্য।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক তানভীর মো. হায়দার আরিফ ফেসবুকে এক পোস্টে জানান, সংঘর্ষে প্রক্টোরিয়াল বডি, পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের যানবাহন ভাঙচুর করা হয়েছে। তিনি সবার সহযোগিতা কামনা করেন।

সংঘর্ষের জেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল পরীক্ষা ও ক্লাস কার্যক্রম রোববার সকাল থেকে স্থগিত করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখনও উত্তপ্ত রয়েছে, এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কার্যকর হস্তক্ষেপের অপেক্ষায় রয়েছে ক্যাম্পাস।