বেরোবিতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবসের খাবারে প্লাস্টিক, অর্ধ সিদ্ধ মাংস

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) “জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস” উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন হলেই ফিস্টের (বিশেষ ভোজ) খাবারে পাওয়া গেছে প্লাস্টিক ,অর্ধ সিদ্ধ, মাংসসহ স্বাদহীদ মোরগ পোলাও। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে তুমুল সমালোচনা।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে এ ফিস্টের আয়োজন করা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, 'রংপুর শহরের ঠিকানা হোটেল ও রেস্টুরেন্ট থেকে এই খাবার সংগ্রহ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন। এর মধ্যে ঠিকানা হোটেলের খাবার নিয়ে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বেশি অভিযোগ পাওয়া যায়। ওই রেস্টুরেন্টের খাবারে কেউ প্লাস্টিক, কেউ পোকা পেয়েছেন। কারো খাবারের মুরগির মাংস আধা সেদ্ধ। কারো খাবারের মাংসে তাজা রক্ত লেগে আছে।'
শহীদ মুখতার ইলাহী হলের আবাসিক শিক্ষার্থী সজিব মিয়া বলেন, খাবারের মান নিম্নমানের। খাবারের ডাল নষ্ট। এ খাবার খাওয়াই যাচ্ছে না। মাংস সিদ্ধ হয়নি। আবার দেখি রক্ত লেগে আছে৷
বিজয়-২৪ হলের আবাসিক শিক্ষার্থী আলিউল ইসলাম বলেন, এসব খাবার ফকির কেউ দেয় না। সালার জঘন্যতম খাবার আমাদের দিয়েছে। বেরোবির প্রশাসন নিজেদের মানসম্মান বাঁচানোর জন্য দিয়েছে এই জঘন্য খাবার। খাবার ভালো হয়তো কিন্তু যারা মেসে থাকে তারা বলে আমরা কি দোষ করেছি ? আমরা কেনো পাবো না। এরাও কিছুটা অভিশাপ দিয়েছে যার কারণে খাবারের এই অবস্থা। বার বস্তা হয়ে গেছে।
এদিকে ফেলানী হলের এক শিক্ষার্থী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দিয়ে লেখেন, যারা আজকে এই খাবার খেয়েছেন। তারা এই খাবার সম্পর্কে এক লাইন করে বলে যাবেন। বিশেষ করে ডালের স্বাদ। কেমন ছিল। শহীদ ফেলানী হল, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শহীদ মুখতার ইলাহী হলের প্রভোস্ট ড. মো. কামরুজ্জামান বলেন, এগুলো মাঝে মাঝে থাকে। হোটেলে খাইতে গেলেও তো তোমরা পাও।
Comments