
বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) রাজশাহীর প্রধান কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেছেন রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) শিক্ষার্থীরা। সোমবার (২৮ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে তারা এ কর্মসূচি পালন করেন।
এসময় শিক্ষার্থীরা, "প্রমোশনের রই রই, সার্কুলার গেল কই?", "ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব, অবৈধ রাজত্ব", "BMDA এর মূলনীতি, কোটি টাকার দূর্নীতি", "BMDA এর অবিচার, কোথায় গেলো সার্কুলার", "তোমার আমার বাংলায়, কোটা প্রথার ঠাই নাই", "SAE পদে অবিচার , মানবে না ইঞ্জিনিয়ার", "সবার মুখে একই বয়ান, ডিপ্লোমারা টেকনিশিয়ান", "আমাদের দাবি ন্যায্য , বন্ধ করো প্রমোশন বানিজ্য", "২৪ এর পরে কোটা, মানিনা, মানবোনা", "হিসাব চাই, হিসাব চাই,প্রমোশনের হিসাব চাই", "অবৈধ প্রমোশন , মানি না মানবো না", "অবৈধ প্রমোশন, মানি না মানবো না" এসব স্লোগান দিতে দেখা যায়।
শিক্ষার্থীরা বিএমডিএর কাছে তিন দফা দাবি উত্থাপন করে; (১)সহকারী প্রকৌশলী পদে সরাসরি সরকারী নিয়োগ পরীক্ষার মাধ্যমে হতে হবে; কোনো প্রকার প্রমোশনাল কোটা রাখা যাবে না। (২) উপ-সহকারী প্রকৌশলী পদে নিয়োগে সকল ধরণের ডিপ্লোমা কোটা বাদ দিয়ে সকল ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য উন্মুক্ত করতে হবে। (৩) বিএমডিএতে সহকারী প্রকৌশলী পদে চলতি দায়িত্বপ্রাপ্ত সকলকে অপসারণ করে, উক্ত পদ সমূহে দ্রুত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে।
শিক্ষার্থীরা বলেন, “বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং না পড়েও অনেকে ‘প্রকৌশলী’ পরিচয় দেন, যা দুঃখজনক। রহস্যজনকভাবে বিএমডিএ দীর্ঘদিন প্রকৌশলী পদে নিয়োগ বন্ধ রেখেছে। অথচ ডিপ্লোমাধারীদের ভারপ্রাপ্ত হিসেবে নিয়োগ দিয়ে কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। এতে প্রকৃত বিএসসি প্রকৌশলীরা বঞ্চিত হচ্ছেন, যা চলতে পারে না।”
এ সময় বিএমডিএ-এর নির্বাহী পরিচালক তরিকুল আলম বলেন, "তোমাদের দাবি অত্যন্ত যৌক্তিক। আমাদের এই প্রতিষ্ঠান কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনে, এই বিষয়ে আমি বোর্ডে অবশ্যই জানাবো। অনেকদিন ধরে এই প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ বন্ধ রয়েছে। আমি তোমাদের আশ্বস্ত করছি অতি দ্রুতই একটি বড় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। বর্তমান সময়ে আমাদের প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের নীতিমালা না থাকায় অনেক সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। এই বিষয়েও আমরা দ্রুত পদক্ষেপ নিব। কিন্তু আমাদের সময় দিতে হবে।"
Comments