Image description

কক্সবাজার-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জাফর আলমকে চকরিয়া থানায় ১৪ দিনের রিমান্ড শেষে আরও সাত দিনের রিমান্ডে পেকুয়া থানায় নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। বুধবার (২ জুলাই) দিনের যে কোনো সময় তাকে পেকুয়া নেওয়া হতে পারে। তবে এই স্থানান্তরে পরিবারের পক্ষ থেকে তার নিরাপত্তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।

জাফর আলমের পরিবারের দাবি, জাফর আলমের পিত্তথলি অপসারণ করা এবং উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসে ভুগছেন। এমন একজন সিনিয়র সিটিজেন ও সাবেক এমপিকে টানা ১৮ দিন রিমান্ডে রাখা অমানবিক। 

তাদের অভিযোগ, একজন প্রভাবশালী নেতার প্রভাবে এমন বিবেকবর্জিত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গোয়েন্দা প্রতিবেদনেও উল্লেখ করা হয়েছে যে তাকে পেকুয়া থানায় নিলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে এবং তার নিরাপত্তা ঝুঁকি রয়েছে।

পরিবারের ভাষ্যমতে, পেকুয়া থানার নিরাপত্তা ব্যবস্থা খুবই দুর্বল। তারা বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পেরেছে যে রিমান্ড চলাকালে পেকুয়া বিএনপি ও যুবদলের দুইজন সিনিয়র নেতা থানায় প্রবেশ করে মব সন্ত্রাস চালানোর পরিকল্পনা করেছে। এছাড়া, থানাটি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদের বাড়ির নিকটবর্তী হওয়ায় নিরাপত্তা ঝুঁকির একটি বড় কারণ বলে মনে করছেন তারা। পেকুয়ায় কোনো মানসম্মত হাসপাতাল না থাকায় জাফর আলমের স্বাস্থ্যগত নিরাপত্তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।

এ অবস্থায়, জাফর আলমের পরিবারের পক্ষ থেকে তাকে জেলগেটে অথবা প্রয়োজনে চকরিয়া বা কক্সবাজার সদর থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করার দাবি জানানো হয়েছে।