
নিহত শিক্ষার্থী তীর্থ বিশ্বাস (২৮) | নিহত শিক্ষার্থী তীর্থ বিশ্বাস (২৮)
অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া রাজ্যের জিলংয়ে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থী তীর্থ বিশ্বাস (২৮) নিহত হয়েছেন। রোববার (৬ এপ্রিল) বাংলাদেশ সময় বিকেল চারটায় হ্যামিলটন হাইওয়ে-সংলগ্ন ব্যারুনাহ প্লেইনস এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
নিহত শিক্ষার্থী তীর্থ চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার হাইলধর ইউনিয়নের গুজরা এলাকার চন্দন বিশ্বাসের পুত্র এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত ডা. সুদির রঞ্জনের নাতি। পরিবারের সকলে চট্টগ্রাম শহরের রহমতগঞ্জ এলাকায় থাকেন। তাঁর বাবা চন্দন বিশ্বাস চট্টগ্রাম জেলা বার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য।
ভিক্টোরিয়া পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ডেকিন বিশ্ববিদ্যালয়ে ইনফরমেশন টেকনোলজি বিভাগের শিক্ষার্থী তীর্থ বিশ্বাস জিলংয়ের নর্লেন এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। তিনি এক বছর আগে স্টুডেন্ট ভিসায় অস্ট্রেলিয়ায় আসেন। তাঁর স্ত্রী ঋতিকা চৌধুরী গত ফেব্রুয়ারিতে স্পাউস ভিসায় অস্ট্রেলিয়ায় পৌঁছান। পুলিশ দুর্ঘটনার কারণ তদন্ত করছে। ড্যাশক্যাম (গাড়ির ভিডিও রেকর্ডার) ফুটেজ সংগ্রহ করেছে বলেও জানা গেছে।
তীর্থ কাকা এডভোকেট কাঞ্চন বিশ্বাস কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, ছেলে হারিয়ে এখন আমরা এখন নিঃস্ব। সড়ক দুর্ঘটনায় সে চলে গেল।
নিহতের খালু অনির্বাণ চৌধুরী বলেন, 'গত বছরের ২৩ জানুয়ারি বিয়ে হয়েছিলো তার। বিয়ের পর স্ত্রীকেও নিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়ায়। স্বামী-স্ত্রী দুইজনই লেখাপড়ার পাশাপাশি একটি আইটি কোম্পানিতে চাকরি করে। সেদিন সেখানে বৃষ্টি হয়েছিল, বৃষ্টির সড়কে নতুন গাড়িটি নিজে চালিয়ে বাসায় ফিরছিলো। রোববার রাত সাড়ে আটটায় হ্যামিলটন হাইওয়ে–সংলগ্ন ব্যারুনাহ প্লেইনস এলাকায় তাঁর গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের গাছে ধাক্কা খায়। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। পরিবারের বড় ছেলেকে হারিয়ে বারবার মা-বাবা মুর্ছা যাচ্ছে। আইনী প্রক্রিয়া শেষ করে আগামী সপ্তাহের মধ্যে তাঁর লাশ দেশে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।'
তীর্থ বিশ্বাসের মৃত্যুর ঘটনায় গ্রামের আনোয়ারায় চলছে শোকের মাতম। স্বজনদের মাঝে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। স্বজনদের আহাজারিতে সৃষ্টি হয়েছে আবেগঘন পরিবেশ। নিহতের লাশ দেশে এসে সৎকার করতে সরকারের সহায়তা কামনা করেছেন পরিবার।
Comments