Image description

আজ আবুধাবিতে শ্রীলংকা ও আফগানিস্তানের মধ্যকার ম্যাচের দিকে তাকিয়ে আছে পুরো বাংলাদেশ। এই ম্যাচের ফলাফলই নির্ধারণ করবে লিটন দাস, তানজিদ হাসান তামিমদের সুপার ফোরে যাওয়ার ভাগ্য। যদিও বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা বলেছেন যে, তারা কোনো নির্দিষ্ট দলের জয় কামনা করছেন না, তবে বাংলাদেশি ক্রিকেটপ্রেমীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শ্রীলংকার প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। শ্রীলংকা ক্রিকেট বোর্ডের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে অনেক বাংলাদেশি ভক্ত 'জাগ্রত হও লংকান সিংহরা' লিখে মন্তব্য করেছেন এবং বাংলাদেশের পতাকার ইমোজি দিয়েছেন।

এশিয়া কাপে বর্তমানে বাংলাদেশ এবং শ্রীলংকা—দুই দলেরই পয়েন্ট ৪। তবে নেট রান রেটে শ্রীলংকা (+১.৫৪৬) শীর্ষে আছে, আর বাংলাদেশের নেট রান রেট -০.২৭০। আফগানিস্তানেরও ২ পয়েন্ট আছে, তবে তাদের নেট রান রেট গ্রুপে সবচেয়ে বেশি, +২.১৫।

সুপার ফোরে ওঠার সহজ সমীকরণ হলো, যদি আজ শ্রীলংকা আফগানিস্তানকে হারিয়ে দেয়, তাহলে বাংলাদেশ বিনা সমীকরণে সুপার ফোরে উঠে যাবে। কিন্তু যদি আফগানিস্তান শ্রীলংকাকে পরাজিত করে, তাহলে বাংলাদেশের সুপার ফোরে ওঠার সমীকরণ অনেক জটিল হয়ে যাবে।

সুপার ফোরের সমীকরণ-

বাংলাদেশের ক্ষেত্রে— শ্রীলঙ্কাকে অবশ্যই জিততে হবে। হারলে ব্যবধান হতে হবে অন্তত ৭১ রান কিংবা ৫৩ বল বাকি। তাহলে বাংলাদেশ ও আফগানরা পরের পর্বে যাবে।

শ্রীলঙ্কার ক্ষেত্রে— ৭১ রান (পরে ব্যাট করলে) কিংবা ৫৩ বলের (আগে ব্যাট করলে) কম ব্যবধানে হারলে সমস্যা নেই। তখন শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তান উঠবে।

আফগানিস্তানের ক্ষেত্রে— জয়ের বিকল্প নেই। তারা জিতলে তিন দলের পয়েন্ট সমান ৪ হলেও নেট রান রেটের কারণে বাদ যাবে বাংলাদেশ।

২০১৮ সালের নিদাহাস ট্রফি থেকে বাংলাদেশ-শ্রীলংকার খেলা 'নাগিন ডার্বি' হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিল। সেই সময় থেকে দুই দলের খেলোয়াড় এবং সমর্থকরা একে অপরের প্রতি মজার ছলে সাপের মতো অঙ্গভঙ্গি করতেন। কিন্তু এবারের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। বাংলাদেশের ভক্তরা নিজেদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দলের জয়ের জন্য প্রার্থনা করছেন, যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দুদেশের সমর্থকদের মধ্যে এক নতুন ধরনের বন্ধুত্ব তৈরি করেছে।