
বাংলাদেশের ফুটবলে পরিচিত মুখ মাহমুদুল হাসান কিরণ। বাংলাদেশ অ-২৩ দলে খেলেছেন। প্রথমবারের মতো পুরুষ ফুটসাল দলেও আছেন। এএফসি ফুটসাল টুর্নামেন্টের বাছাই খেলতে মালয়েশিয়ায় থাকায় জাকসু নির্বাচনে ভোট দিতে পারেননি কিরণ। অথচ জাকসু নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ৫ হাজার ৭১৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।
জাকসুর ফলাফল যখন ঘোষণা হয় তখন মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে ফুটসাল অনুশীলনে কিরণ। সেই অনুশীলন শেষে কিরণ মালয়েশিয়া থেকে উচ্ছাস প্রকাশ করে বলেন ‘আমি আমার জয়ের জন্যে প্রথমত সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞ। আমি সাধারণ শিক্ষার্থীদের ধন্যবাদ জানাই যারা আমার প্রতি বিশ্বাস রেখে ভোট দিয়েছেন।’
১১ সেপ্টেম্বর ছিল জাকসু নির্বাচন। বাংলাদেশ ফুটসাল দল ৭ সেপ্টেম্বর মালয়েশিয়ার উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করে। কিরণ দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হওয়ায় ঐদিনই তাকে যেতে হয়েছে। ফলে নির্বাচনের আগে সশরীরে জনসংযোগ করতে পারেননি। এমনকি নির্বাচনের দিনও অনুপস্থিত ছিলেন।
নিজের ভোট নিজে না দিতে পারলেও জাহাঙ্গীরনগরের শিক্ষার্থীরা কিরণকে বিপুল ভোটে দিয়েছেন। ভিপি, সেক্রেটারি বা সকল পদ এবং ব্যক্তির মধ্যে তিনি সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়েছেন। জাকসু নির্বাচনে চারটি পূর্ণাঙ্গ ও কয়েকটি আংশিক প্যানেল থাকলেও কিরণ কোনো প্যানেলে যাননি। স্বতন্ত্র নির্বাচন করেছেন। তাই তিনি তার জয়কে পুরো জাহাঙ্গীরনগরের বলেছেন, ‘আমার এই জয় পুরো জাহাঙ্গীর নগর এর, পুরো জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় স্পোর্টস ক্লাবের।’
জাতীয় দল, ক্লাব ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলাধুলাতেও অনেক সক্রিয় কিরণ। তার নেতৃত্বেই সম্প্রতি বাংলা বিভাগ আন্তঃবিভাগ ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। ফুটবল ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য খেলা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলোয়াড়দের পাশে কিরণ পাশে থাকেন সব সময়।
Comments