Image description

সবশেষ মৌসুমে শূন্য হাতে শেষ করেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। এরপর কার্লো আনচেলত্তির জায়গায় তাদের নতুন কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেন জাবি আলোনসো। স্প্যানিশ এই কোচের অধীনে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ জিততে মুখিয়ে ছিল লস ব্লাঙ্কোসরা। তবে ভীষণ হতাশার মৌসুমে ট্রফি শূন্যই থাকল ই্উরোপের সফলতম দলটি।

বুধবার রাতে নিউ জার্সির মেটলাইফ স্টেডিয়ামে ক্লাব বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদকে ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছে প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি)। আগামী রোববার (১৩ জুলাই) ফাইনালে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব চেলসির বিপক্ষে মাঠে নামবে প্রথমবার চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা জয়ী দলটি।  

এদিন ফরাসি ক্লাবটির গোছানো আক্রমণাত্মক ফুটবলের সামনে খুঁজেই পাওয়া যায়নি রিয়ালকে। দ্বিতীয়ার্ধে খেলায় একটু উন্নতি করলেও ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নদের চ্যালেঞ্জই জানাতে পারেনি স্প্যানিশ জায়ান্টরা। জোড়া গোল করেছেন ফাবিয়ান রুইস, একটি করে গোল করেছেন উসমান দেম্বেলে ও গন্সালো রামোস।

ম্যাচের প্রথম চার মিনিটেই দুটি দুর্দান্ত সেভ করে রিয়ালকে বাঁচান গোলকিপার থিবো কোর্তোয়া। কিন্তু তাদের ডিফেন্ডারদের নিদারুণ ব্যর্থতায় ইউরোপিয়ান ক্লাসিকোর ভাগ্য ২৪ মিনিটেই গড়ে ফেলে লা প্যারিসিয়ানরা। এই সময়ের মধ্যে গুনে গুনে তিন গোল দিয়ে ম্যাচের লাগাম নিয়ন্ত্রণে নেয় লুইস এনরিকের শিষ্যরা। 

রিয়ালের ডিফেন্ডার রাউল অ্যাসেনসিওর ভুলে ৬ মিনিটে প্রথম লিড নেয় পিএসজি৷ গোলটি করেন স্প্যানিশ মিডফিল্ডার ফ্যাবিয়ান রুইজ। তিন মিনিট পরে আবারো রিয়াল ডিফেন্ডারের ভুল। এবার অভিজ্ঞ অ্যান্তোনি রুডিগার বল হারান। যা ধরে গতির সঙ্গে রিয়ালের বক্সে ঢুকে ব্যবধান ২-০ করেন উসমান ডেম্বেলে। 

ম্যাচের ২৪ মিনিটে দলের তৃতীয় ও নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন ফ্যাবিয়ান রুইজ। ৩৯তম মিনিটে ব্যবধান আরও প্রায় বাড়িয়েই ফেলছিল তারা। একটুর জন্য শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি খাভিচা কাভারাৎস্খেলিয়া। তাতে ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় প্যারিসের দলটি। 

দ্বিতীয়ার্ধে ৪৭তম মিনিটে রিয়ালের জালে বল পাঠান দিজিরে দুয়ে। কিন্তু অফসাইডের জন্য মেলেনি গোল। ফাইনালের কথা মাথায় রেখে এর ১০ মিনিট পর দেম্বেলে ও কাভারাৎস্খেলিয়াকে তুলে নেন পিএসজি কোচ। আর ৬১তম মিনিটে জুড বেলিংহ্যামের জায়গায় লুকা মদ্রিচকে নামান রিয়াল কোচ আলোন্সো। 

কিন্তু বিরতির পর খেলায় বেশ উন্নতি করলে রিয়াল গোলের তেমন নিশ্চিত কোনো সুযোগই তৈরি করতে পারেনি। ৭০তম মিনিটে মাঠে আসেন রিয়ালের অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার দানি কার্ভাহাল। গত অক্টোবরের পর এই প্রথম খেলতে নামলেন স্প্যানিশ রাইট-ব্যাক। কিন্তু মাঠের নামার কিছুক্ষণের মধ্যেই হলুদ কার্ড দেখেন তিনি। 

একপেশে ম্যাচের ৮৮তম মিনিটে ব্যবধান আরও বাড়ান বদলি নামা গঞ্জালো রামোস। খুব কাছ থেকে গতিময় শটে জাল খুঁজে নেন পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড। গোল উদযাপনে তিনি স্মরণ করেন মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো জাতীয় দলের সতীর্ধ দিয়োগো জটাকে।

পিএসজি ছাড়ার পর প্রথমবার নিজের সাবেক দলের মুখোমুখি হয়ে তেমন কিছুই করতে পারেননি কিলিয়ান এমবাপে। ফরাসি ক্লাবটির রেকর্ড গোলদাতার মতোই নিজের ছায়া হয়েছিলেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। এই ম্যাচ দিয়ে রিয়াল মাদ্রিদ অধ্যায় শেষ হলো মদ্রিচ ও লুকাস ভাসকেসের।