Image description

ভারতীয় ক্রিকেটার মোহাম্মদ শামি ও তার মডেল স্ত্রী হাসিন জাহানের বিচ্ছেদ হয়ে গেছে। এবার তাদের একমাত্র কন্যা সন্তানের ভরণপোষণ চেয়ে আদালতে আবেদন করেছিলেন হাসিন জাহান। সেই আবেদনের রায়ে, কলকাতার উচ্চ আদালত মোহাম্মদ শামিকে প্রতি মাসে ৪ লাখ রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৫ লাখ ৭২ হাজার টাকা) স্ত্রী ও সন্তানের ভরণপোষণ বাবদ দিতে নির্দেশ দিয়েছে।

এই রায়ের ফলে হাসিন জাহান ও তাদের সন্তানের আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত হলো।

এর আগে আলিপুর জেলা আদালত শামিকে সাবেক স্ত্রী হাসিন জাহান ও মেয়ে আয়রাকে মাসে ১.৩ লাখ রুপি ভরণপোষণ ব্যয় দেওয়ার নির্দেশ দেয়। শামি ওই রায়ে সন্তুষ্ট হতে না পেরে উচ্চ আদালতে যান। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অজয় কুমার মুখোপাধ্যায় তার রায়ে শামির খরচ বাড়িয়ে দিয়েছেন। 

শামি ও হাসিন জাহানের ২০১৪ সালে বিয়ে হয়। ২০১৮ সালে বিচ্ছেদ হয়ে যায়। তখন ‘প্রোটেকশন অব উইমেন ফ্রম ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স অ্যাক্ট-২০০৫’ অনুসারে মামলা দায়ে করে ভরণপোষণ চান হাসিন। আলিপুর আদালত প্রথমে মাসে ৮০ হাজার রুপি পরে জেলা জজ আরও ৫০ হাজার রুপি খরচ দেওয়ার নির্দেশ দেন। 

উচ্চ আদালতে হাসিনের আইনজীবী জানান, মাসে হাসিনের আয় ১৬ হাজার রুপি। যা ব্যাংকের স্থায়ী আমানত থেকে আসে। এই অর্থে তার এবং মেয়ের খরচ চলে না। শামির সঙ্গে বিয়ের পর তারা স্বচ্ছল জীবনযাপনে অভ্যস্ত। তাদের মাসিক খরচ প্রায় ৬ লাখ রুপি। অন্যদিকে শামির ২০২০-২১ অর্থবছরে আয় ছিল ৭.১৯ কোটি রুপি। সামর্থ্য থাকতেও তিনি স্ত্রী-সন্তানকে ক্ষতিপূরণ দিচ্ছেন না। 

জবাবে শামি আদালতকে বলেন, তার সাবেক স্ত্রী একজন সফল মডেল এবং অভিনেত্রী। বিজ্ঞাপনচিত্রে কাজ করেন। মাসে অন্তত ৫ লাখ রুপি আয় করেন। ব্যাংক আমানত থেকেও ভালো অর্থ আসে। তিনি খরচ বাবদ এতো অর্থ দিতে পারবেন না।

উচ্চ আদালতের রায়ে হাসিন জাহান , ‘সাত বছর ধরে নিজের ও সন্তানের অধিকাকের জন্য লড়তে গিয়ে প্রায় সব হারিয়েছি। সন্তানকে ভালো স্কুলেও দিতে পারিনি। এ রায়ে আদালতের প্রতি কৃতজ্ঞ।’ বিচারপতি অজয় জানিয়েছেন, অতিরিক্ত কিংবা অল্প ক্ষতিপূরণ গ্রহণযোগ্য নয়।