
২০২৭ সালের মধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ৭৫টি ট্যালেন্ট একাডেমি গড়বে আন্তর্জাতিক ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) নতুন কমিটি ফিফা ট্যালেন্ট একাডেমি গড়ার উদ্যোগ নিচ্ছে। ফিফার অর্থায়নে এ একাডেমি প্রজেক্টে নিজেদের আগ্রহের কথা আর্সেন ওয়েঙ্গারকে জানিয়েছেন বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল।
শনিবার ‘মিট দ্য প্রেসে’ এক প্রশ্নের জবাবে বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল বলেছেন, “প্রত্যেক দেশ এই একাডেমির জন্য আবেদন করতে পারে, তবে টিডিএস কমিটি রাজি হলেও চূড়ান্ত সম্মতি দেন আর্সেন ওয়েঙ্গার। তার কাছে আমি কমিটমেন্ট করেছি গত ফিফা কংগ্রেসে। আমরা আবেদন করব এবং প্রাথমিকভাবে কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে আমাদের। আশা করি, আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে আমরা ফিফা ট্যালেন্ট একাডেমির চুক্তি স্বাক্ষর করতে পারব।”
এ প্রজেক্টের আনুষ্ঠানিক নাম হলো ‘ফিফা ট্যালেন্ট ডেভেলপমেন্ট স্কিম’। এর অধীনে ফিফা আগামী ২০২৭ সালের মধ্যে ৭৫টি ফিফা ট্যালেন্ট একাডেমি গড়বে বিভিন্ন দেশে। ভারতের ভুবনেশ্বরেও এরকম একটি একাডেমি তৈরি করে দিয়েছে ফিফা। সর্বশেষ গত জানুয়ারিতে বাহরাইনও নিয়েছে ফিফার এলিট একাডেমির সুবিধা। ফিফার অর্থায়নের পাশাপাশি তাদের গ্লোবাল ফুটবল ডেভেলপমেন্টের তত্ত্বাবধানে চলবে এ একাডেমি।
এর আগে ২০১২ সালে একাডেমি গড়বে বলে ফিফার ৭ লাখ ডলার অনুদান নয়-ছয় করেছিল বাফুফে। সিলেট বিকেএসপিকে ফুটবল একাডেমিতে রূপ দিয়ে কিছুদিন চালিয়ে বন্ধ করে দিয়েছিল তারা।
তবে তাবিথ আউয়ালের কমিটি ফিফার এ এলিট একাডেমি গড়ার ব্যাপারে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। এর আগে বাফুফে সভাপতি চাইছেন ফুটবল সেন্টার অব এক্সেলেন্স-এর একটা সুরাহা করতে, আমাদের তো আগেই একটা ফুটবল সেন্টার করার প্রজেক্ট দিয়েছে, যা কক্সবাজারে হওয়ার কথা ছিল। স্বাভাবিকভাবে ওটা নিয়ে আগে আমাদের চিন্তা করতে হবে। ডিসেম্বরের মধ্যে সুরাহা করতে না পারলে ওই প্রজেক্ট বাতিল হয়ে যাবে। কথা দিচ্ছি, এটা বাতিল হবে না, তার আগেই এটা কার্যকর করব।
Comments