
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশের ব্যাটিং ব্যর্থতা অনেকটা প্রাত্যহিক রুটিনের মতো। এবারও তাঁর ব্যতিক্রম হলো না। বুধবার লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করে পাকিস্তান ৭ উইকেটে ২০১ রান সংগ্রহ করে। জবাবে টাইগাররা ১৯ ওভার দুই বলে ১৬৪ রান করে অলআউট হয়।
শুরুতে ফিল্ডিংয়ে নেমে দুর্দান্ত শুরু করে লিটন দাসের দল। প্রথম ওভারে পাকিস্তানের ওপেনার সাঈম আইয়ূবকে শূন্য রানে ফেরান শেখ মাহেদী। দ্বিতীয় ওভারে ফখর জামানকে তুলে নেন শরিফুল ইসলাম। পরে মোহাম্মদ হারিস ও সালমান আঘা ৪৮ রানের জুটি গড়েন। হারিস ফিরে যান ১৮ বলে ৩১ রানের ইনিংস খেলেন। তিনি চারটি চার ও একটি ছক্কা মারেন। অধিনায়ক সালমান আঘা ৩৪ বলে ৫৬ রান করেন। আটটি চার ও একটি ছক্কা মারেন তিনি। ঝড়ো ইনিংস হাসান নওয়াজ। তার ব্যাট থেকে আসে ৪৪ রান। রান বাড়িয়ে নেয়ার কাজটা শেষে করেন শাদাব খান। তিনি ২৫ বলে ৪৮ রান যোগ করেন। ৫টি চার ও দুটি ছক্কা তোলেন তিনি।
জবাবে নেমে শুরুতে ওপেনার পারভেজ ইমন ৪ রান করে ফিরে যান। অন্য ওপেনার তানজিদ তামিম ভালোর আশা দিয়ে ১৭ বলে ৩১ রান করে আউট হন। তিনি তিনটি ছক্কা ও দুটি চার মারেন। লিটন দাসের ব্যাট থেকে আসে ৩০ বলে ৪৮ রানের ইনিংস। বাংলাদেশ অধিনায়ক তিনটি ছক্কা ও একটি চার মারেন। তিনি ১২ ওভারের শেষ বলে দলের ১০০ রানে আউট হন। তখনও ভালো মতোই ম্যাচে ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু পরের ব্যাটাররা যাওয়া-আসার মিছিল শুরু করায় অলআউট হতে হয় ফিল সিমন্সের শিষ্যদের। চারে নামা তাওহীদ হৃদয় ২২ বলে ১৭ রান করে আউট হয়ে যান। শামীম হোসেন (৪), রিশাদ হোসেন (৪) পুরোপুরি ব্যর্থ হন। জাকের আলী ২১ বলে তিন ছক্কা ও এক চারে ৩৬ রান করে ফিরলে বড় হার সঙ্গী হয় দলের।
বাংলাদেশের ইনিংস ধসিয়ে দেন দীর্ঘ বিরতি দিয়ে জাতীয় দলে ফেরা পেসার হাসান আলী। তিনি দুই ওপেনার ইমন, তামিমকে ফেরান। জাকের কেও শিকারে পরিণত করেন। ৩.২ ওভারে ৩০ রান দিয়ে ক্যারিয়ার সেরা ৫ উইকেট নেন। শাদাব খান ৪ ওভারে ২৬ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট।
বাংলাদেশের হয়ে স্পিনার মাহেদী ৪ ওভারে ৩৬ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন। শরিফুল ৩ ওভারে ৩২ রান খরচা করে ২ উইকেট নেন। হাসান মাহমুদ ৩ ওভারে ২৪ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট। ২ ওভারে ২২ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন তানজিম সাকিব। রিশাদ হোসেন ৪ ওভারে ৫৫ রান খরচা করে ১ উইকেট নেন। শামীম পাটোয়ারি ৪ ওভার বল করে ৩১ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট।
Comments