Image description

বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেম দেখে মুগ্ধতা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত আর্জেন্টিনার রাষ্ট্রদূত এইচ ই মার্শেলো কার্লোস সিসা। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ ও আর্জেন্টিনার মধ্যে ফুটবলের মাধ্যমে যে সেতুবন্ধন তৈরি হয়েছে, তা অত্যন্ত শক্তিশালী। এই সম্পর্ক আরও গভীর হতে পারে উল্লেখ করে তিনি বাংলাদেশের ফুটবলের উন্নয়নে সম্ভাব্য সবরকম সহযোগিতা প্রদানে তার দেশ প্রস্তুত বলে আশ্বাস দেন।

গত শুক্রবার যশোরের শামস উল হুদা ফুটবল অ্যাকাডেমিতে আয়োজিত এএফসি গ্রাসরুট ফুটবল ডে ও ওয়ার্ল্ড ফুটবল উইক উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) উদ্যোগে আয়োজিত এই ফুটবল উৎসবে খুলনা বিভাগের ১৫টি ফুটবল অ্যাকাডেমি থেকে প্রায় ৬০০ খুদে ফুটবলার দিনব্যাপী অংশ নেয়। রাষ্ট্রদূত সিসা এই আয়োজনের উদ্বোধন করেন এবং একই সাথে ভাষা সৈনিক মুছা মিয়া ভবনেরও উদ্বোধন করেন।

আর্জেন্টিনার রাষ্ট্রদূত এইচ ই মার্শেলো কার্লোস সিসা বলেন, আমাদের লক্ষ্য হলো বাংলাদেশের ফুটবলের উন্নয়নে সম্ভাব্য সকল সহযোগিতা প্রদান করা। আমরা চাই, বাংলাদেশের তরুণ ফুটবলাররা বিশ্বমানের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করুক এবং একদিন বিশ্ব মঞ্চে দেশের প্রতিনিধিত্ব করুক। আমাদের দেশ বাংলাদেশের কোচ এবং খেলোয়াড়দের উন্নত প্রশিক্ষণের সুযোগ করে দিতে প্রস্তুত। একইভাবে, আমরা আশা করি, আমাদের প্রশিক্ষকরাও বাংলাদেশের অ্যাকাডেমিগুলোতে এসে এখানকার তরুণ প্রতিভাগুলোকে সহায়তা করতে পারবে।

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি তাবিথ আউয়াল জানান, যশোরে ৮-১৪ বছর বয়সী প্রচুর ফুটবলারের অংশগ্রহণে ফেস্টিভ্যাল অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আমরা চাইছি, যারা ফুটবলে ভালো দেশ, তাদের সঙ্গে সম্পর্ক আরও ভালো করতে। তাই আর্জেন্টিনার রাষ্ট্রদূতকে যশোরের অনুষ্ঠানে আসার প্রস্তাব দিতেই তিনি সানন্দে রাজি হয়ে যান। তিনি এসে ফুটবলারদের এই মিলনমেলা দেখেছেন। এতে করে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দেশের সঙ্গে ফুটবল নিয়ে সামনে কাজ করা সহজ হবে।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সহ-সভাপতি মো. নাসের শাহরিয়ার জাহেদী, মো. ওয়াহিদ উদ্দীন চৌধুরী (হ্যাপি) ও ফাহাদ মোহাম্মদ করিমসহ বাফুফের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 

বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন বাফুফের সদস্য ইকবাল হোসেন, গোলাম দাউদ, কামরুল হাসান, সাখাওয়াত হোসেন শাহীন এবং সাইদুর রহমান মনি। 

এই আয়োজন বাংলাদেশের ফুটবলকে তৃণমূল পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক জোরদারে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করল।