
বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানা সম্প্রতি একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের টক শোতে বলেন যে, বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন এবং জাতীয় নির্বাচনের মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। তিনি মনে করেন, ডাকসু ও জাকসু নির্বাচনে ছাত্রদলের ভরাডুবির কারণ রাজনৈতিক কৌশলে পিছিয়ে থাকা এবং বিভিন্ন ধরনের প্রতিকূলতা মোকাবিলা করতে না পারা।
রুমিন ফারহানা বলেন, বিএনপি ১৫ বছরের ট্রমা থেকে বেরিয়ে একটি ‘রিলাক্সড’ অবস্থায় চলে গেছে, যা সম্ভবত তাদের জন্য ভালো হয়নি। তিনি স্বীকার করেন যে এই ঢিলেঢালা মনোভাবের কারণেই ডাকসু ও জাকসুতে ছাত্রদলের এমন ভরাডুবি হয়েছে। তবে তিনি জোর দিয়ে বলেন, জাতীয় নির্বাচন সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি বিষয়। সেখানে ৩০০টি আসনে লড়াই হয় এবং সরকার গঠনের প্রশ্ন থাকে। তাই তিনি মনে করেন না যে জাতীয় নির্বাচনেও বিএনপি এমন রিলাক্সড থাকবে।
রাকসু নির্বাচনে ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থীর প্রশাসনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের বিষয়ে রুমিন ফারহানা বলেন, শুধু অভিযোগ না করে তাদের নিজেদের আত্মসমালোচনা করা উচিত। তিনি বলেন, “হেরে গেলে আমরা নির্বাচন মানতামই না। হেরে গেলে বলতাম, নির্বাচনে দান্দালি হয়েছে। হেরে গেলে বলতাম, বিরোধীরা কোনো না কোনো ফন্দি করেছে।” তিনি আরও বলেন, যদি কারচুপি হয়েও থাকে, তা ১০০ শতাংশ হয়নি। পুরো প্যানেলের এমন ভরাডুবি কেন হলো, তা নিয়ে নিজেদের মধ্যে বসে আত্মবিশ্লেষণ করা প্রয়োজন।
রুমিন ফারহানা বলেন, জাতীয় নির্বাচনেও বিএনপির সামনে কঠিন পরীক্ষা আছে। বিশেষ করে প্রার্থী বাছাই নিয়ে জটিলতা তৈরি হতে পারে, কারণ প্রতিটা আসনে একাধিক যোগ্য প্রার্থী রয়েছেন। তবে তিনি জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির এই সমস্যার তুলনা করে বলেন, জামায়াতে এই ধরনের সমস্যা নেই। জামায়াত একটি অত্যন্ত সুশৃঙ্খল এবং সাংগঠনিক দল। তাদের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব যদি কোনো প্রার্থীকে ঘোষণা করে, তবে অন্য কোনো যোগ্য প্রার্থী নিজেকে ওই আসনে আর ঘোষণা করবেন না। জামায়াতের এই সাংগঠনিক শৃঙ্খলা তাদের জন্য একটি বড় সুবিধা।
Comments