Image description

বিএনপি সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা মন্তব্য করেছেন যে, বিমান দুর্ঘটনায় নিহত শিশুদের দায় সরকার এড়াতে পারে না।

তিনি বলেন, "একটি প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবহৃত বিমান একটি স্কুলের ওপর পড়ে যাওয়া, শিশু ও শিক্ষকদের নিহত হওয়া, আহত হওয়া, এমনকি বিমানের ফাইটার, অর্থাৎ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চালকের নিহত হওয়া পুরো জাতির জন্য শোকাবহ একটি ঘটনা।"

এটার দায় মেয়াদোত্তীর্ণ বিমান, যা প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবহার হচ্ছিল কেউ এর দায় এড়াতে পারে না। এটার জবাব সবাইকে দিতে হবে।’
সম্প্রতি একটি বেসরকারি টিভির আলোচনায় ‘দায়হীনতার সংস্কৃতি দেশে এই প্রশ্নগুলোর জবাব কে দেবে? দেশের সার্বিক পরিস্থিতির দায় কার’—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। 

রুমিন ফারহানা বলেন, ‘তবে এই কষ্ট বিক্ষোভে রূপ নিয়েছে একটি কারণে।

তা হচ্ছে, কালকে থেকেই আমরা লক্ষ করলাম, একটা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা। নিহত কতজন হয়েছে, তার সঠিক একটা তালিকা সরকার দিচ্ছিল না। আহত কত হয়েছে, সেটাও বের করা খুব একটা কষ্টসাধ্য ব্যাপার নয়। কারণ একটা ক্লাসে কতজন ছাত্র-ছাত্রী আছে, কতজন শিক্ষক আছেন, সেটা স্কুল কর্তৃপক্ষ জানে।

সুতরাং এই সংখ্যাটি বলা বা সংখ্যাটিকে কমিয়ে দেখানো সরকারের তরফে কোনো কারণ ছিল বলে আমি মনে করি না।’ 
রাজনৈতিক সরকারগুলো অতীতে অনেক তথ্য ‍লুকিয়েছে। তার কারণ ছিল, পলিটিক্যাল অ্যাম্বিশন ছিল। আমরা অতীতে সরকারকে দেখেছি, তথ্য লুকিয়ে ভুল তথ্য মানুষকে দিতে। তার কারণ ছিল রাজনৈতিক সরকারের একটা পলিটিক্যাল অ্যাম্বিশন ছিল।

এগুলো কারণ হতে পারে। কিন্তু এই সরকারের তো কোনো অ্যাম্বিশন থাকার কথা নয়। এই সরকার তো হবে ট্রান্সপারেন্ট এবং অ্যাকাউন্টেবল। কিন্তু আমরা সরকারের মধ্যে না দেখছি, ট্রান্সপারেন্সি, না পাচ্ছি অ্যাকান্টটেবিলি।

একই সঙ্গে রাত ৩টার সময় বলা হলো, এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। এই ঘোষণা আসতে রাত ৩টা হওয়া কি প্রয়োজন ছিল? কারণ ওই স্কুলের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিচ্ছিল। আবার ওই স্কুলে অন্যান্য কলেজের শিক্ষার্থীদের সিট পড়েছে। আপনি যদি সাথে সাথে ঘোষণা দিতেন, আজকে যে পরীক্ষা ছিল তা স্থগিত করা হলো। অর্থাৎ সরকার একটা টালমাটাল পরিস্থিতিতে পড়ে গেছে। 

এমনকি সরকারের মধ্যে সমন্বয়হীনতায় পড়ে গেছে। এই যে বাচ্চারা আইসিইউতে সিসিইউতে কাতরাচ্ছে, অথচ এখন পর্যন্ত স্বাস্থ্য উপদেষ্টাকে দেখা যায়নি। আমরা শিক্ষা উপদেষ্টাকে সেই জায়গা উপস্থিত হতে দেখেছি। আর প্রেসসচিবকে দেখেছি। তিনি সব সময় সব জায়গায় উপস্থিত হন। অনেক বেশি কথা বলেন। তবে স্বাস্থ্য উপদেষ্টাকে দেখা যায়নি। এমনকি গত ৯ মাসে উনাকে খুব বেশি দেখা যায়নি। অথচ সেখানে সবার আগে স্বাস্থ্য উপদেষ্টার যাওয়ার কথা ছিল।