
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে বেরিয়ে বলেছেন যে, দেশে সংকট তৈরি হলেই কেবল প্রধান উপদেষ্টা রাজনৈতিক দলগুলোকে আলোচনায় ডাকেন এবং দেখানোর চেষ্টা করেন যে সবাই একমত।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, এরপর থেকে সরকার যদি রাজনৈতিক দলগুলোর পরামর্শ গ্রহণ না করে, তাহলে তারা (সিপিবি) প্রধান উপদেষ্টার এমন আহ্বানে আর সাড়া দেবেন না। এই মন্তব্য সরকারের চলমান সংলাপ প্রক্রিয়ার কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্ত হয়ে প্রাণহানির পরদিন সেখানে ছাত্রবিক্ষোভ এবং সচিবালয়ে ঢুকে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ-ভাঙচুর ও সংঘর্ষের পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ চারটি দলের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। সেখানে গোপালগঞ্জের সাম্প্রতিক সহিংসতা নিয়েও আলোচনা হয়।
প্রধান উপদেষ্টা ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে দলগুলোর ঐক্য আরও দৃশ্যমান করার আহ্বান জানান। অপর দিকে দলগুলোর পক্ষ থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সরকারকে আরও শক্ত অবস্থান নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
এরপর বুধবার (২৩ জুলাই) বিকেলে ১৩টি দল ও জোটের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন প্রধান উপদেষ্টা। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ওই বৈঠক শেষে বেরিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সিপিবি নেতা রুহিন হোসেন।
বৈঠকে গোপালগঞ্জ ও মাইলস্টোনের ঘটনা নিয়ে কথা বলেছেন জানিয়ে সিপিবির সাধারণ সম্পাদক বলেন, গোপালগঞ্জে এনসিপির কর্মসূচির আগে কেন উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়া হলো, সে প্রশ্ন বৈঠকে তুলেছেন। তিনি বলেছেন, অনেকে মনে করে এনসিপি প্রধান উপদেষ্টার প্রশ্রয়ে আছে। সচিবালয়ে বিক্ষোভের ঘটনায় পুলিশি হামলার ঘটনা কেন ঘটল, সেই প্রশ্নও বৈঠকে তুলেছেন।
রুহিন হোসেন বলেন, তারা প্রধান উপদেষ্টাকে বলেছেন, জনগণকে সুশাসন দিতে না পারলে জনগণের মধ্যে প্রশ্ন তৈরি হবে।
কেউ কেউ বলতে পারে, ‘আগের সময়েই ভালো ছিলাম।’ সুতরাং অন্তর্বর্তী সরকারকে এমনভাবে কাজ করতে হবে, যেন এ ধরনের কথা কেউ না বলতে পারে।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টাকে পতিত স্বৈরাচার ও আধিপত্যবাদের বিষয়ে সচেতন থাকার পরামর্শ দিয়েছেন বলে জানান রুহিন হোসেন। তিনি বলেন, পতিত স্বৈরাচার ফিরে আসতে চাইলে সবাই মিলে প্রতিহত করতে হবে। তাঁদের কোনোভাবেই প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না।
Comments