Image description

ইসলাম ধর্মানুসারে, মানবজীবনে প্রকৃত শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের জন্য নির্দিষ্ট কিছু গুণাবলির ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) তাঁর বিভিন্ন হাদিসে এই গুণাবলিগুলো সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরেছেন, যা আমাদের জীবনকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে সাহায্য করে।

নবীজি (সা.)-এর চোখে শ্রেষ্ঠত্বের প্রথম মাপকাঠি হলো কোরআন শিক্ষা ও শিক্ষাদান। তিনি বলেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ সে, যে কোরআন শেখে ও শেখায়।’ এটি আল্লাহর বাণীকে হৃদয়ে ধারণ করা এবং তা অন্যের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার সর্বোচ্চ মর্যাদাপূর্ণ কাজের গুরুত্ব তুলে ধরে। এছাড়া, তিনি উত্তম আচরণ ও নৈতিকতাকে শ্রেষ্ঠত্বের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ মানদণ্ড হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, ‘নিশ্চয়ই তোমাদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ সে, যে তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম আচরণের অধিকারী।’ এর মাধ্যমে সততা, বিনয় এবং দয়াকে জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে ধারণ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

সামাজিক জীবনেও শ্রেষ্ঠত্বের কিছু বিশেষ দিক রয়েছে। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে সর্বসেরা ব্যক্তি সে, যে ঋণ পরিশোধের বেলায় ভালো।’ এটি আর্থিক লেনদেনে বিশ্বস্ততার গুরুত্ব তুলে ধরে। তিনি আরও বলেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম সে, যার কাছ থেকে সবাই কল্যাণ আশা করে, অনিষ্টের আশঙ্কা করে না।’ এই গুণটি একজন মানুষকে সমাজের সবার কাছে প্রিয় করে তোলে।

পারিবারিক বন্ধন দৃঢ় করার ক্ষেত্রেও শ্রেষ্ঠত্বের মানদণ্ড রয়েছে। নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি উত্তম, যে নিজের পরিবারের কাছে উত্তম।’ এই হাদিস আমাদের শেখায় যে, নিজের পরিবারের প্রতি যত্নশীল ও দয়ালু হওয়া একজন মানুষের শ্রেষ্ঠত্বের একটি অপরিহার্য অংশ।