Image description

জিতলে টিকে থাকবে আশা, হারলেই বিদায়, কার্যত বাঁচা-মরার এমন সমীকরণের ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ যখন আফগানিস্তান, ভয় কিছুটা থাকেই। তবে সেই ভয়কেই এবার জয় করেছে বাংলাদেশ।  বাঁচা-মরার লড়াইয়ে আফগানিস্তানকে ৮ রানে হারিয়ে এবারের এশিয়া কাপে টিকে থাকল টাইগাররা।

আবুধাবিতে মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) আফগানিস্তানের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৫৪ রান তোলে টাইগাররা।

ওপেনিংয়ে সাইফ হাসান ও তানজিদ তামিম জুটি গড়েন ৬৩ রানের। পারভেজ ইমনের জায়গায় একাদশে ফেরা সাইফ ২৮ বলে ৩০ রান করেন। ইনিংসে দুটি চার ও একটি ছক্কা ছিল। তবে সাবলীল হতে পারেননি। এরপর অধিনায়ক লিটন দাস ফিরেন ১১ বলে  ৯ রান করে। 

তবে ঝড়ো ব্যাটিংয়ে দলকে এগিয়ে নেন তানজিদ তামিম। ৩১ বলে চারটি চার ও তিন ছক্কায় করেন ৫২ রান। দলের স্কোর তখন ১০৪। চার নম্বরে নেমে তাওহীদ হৃদয়ও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। তিনি ২০ বলে ২৬ রান করেন একটি চার ও একটি ছক্কায়। স্লগ ওভারে শামীম হোসেন ১১ বলে ১১, জাকের আলি ১৩ বলে ১২ এবং নুরুল হাসান সোহান ৬ বলে অপরাজিত ১২ রান যোগ করেন। প্রত্যাশা থাকলেও বাংলাদেশ থেমে যায় ১৫৪ রানেই।

তবে আসল সংকট দেখা দেয় বোলিং বিভাগে। একজন বিশেষজ্ঞ বোলার কম নিয়ে একাদশ সাজানোয় ভরসা রাখতে হয় পার্ট-টাইমার সাইফ হাসান ও শামীম পাটোয়ারির ওপর। আফগানিস্তানের স্পিনার রশিদ খান ও নুর আহমেদের সামনে সেই শঙ্কা আরও প্রকট হয়।

বাংলাদেশের মূল বোলারদের মধ্যে নাসুম আহমেদ ছিলেন দুর্দান্ত। তিনি ৪ ওভারে মাত্র ১১ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। রিশাদ আহমেদও সমান ২ উইকেট নেন ১৮ রান খরচায়। মুস্তাফিজুর রহমান ছিলেন সেরা বোলার। তিনি ৪ ওভারে ২৮ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। ১৯তম ওভারে মাত্র ৫ রান দিয়ে নেন দুই উইকেট। তাসকিন আহমেদ ৪ ওভারে ৩৪ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট।

কিন্তু পার্ট-টাইম বোলারদের ব্যর্থতাই শেষ পর্যন্ত কাল হয়। সাইফ ৩ ওভারে দেন ৩৯ রান, শামীম এক ওভারে খরচ করেন ১৬ রান। তাদের ৪ ওভারেই যায় ৫৫ রান। ফলে লড়াই জমলেও শেষ পর্যন্ত হেরে মাঠ ছাড়তে হয় আফগানদের।

আর এতেই এখন ৩ ম্যাচে ২ জয় নিয়ে বি গ্রুপের পয়েন্ট টেবিলের দুই নাম্বারে অবস্থান করছে টাইগাররা। এই গ্রুপে ২ ম্যাচে ২ জয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে শ্রীলঙ্কা।

গ্রুপের বাকি দুই দলের ভিতর আফগানরা ২ ম্যাচে ১ জয় নিয়ে তৃতীয় ও ৩ ম্যাচে সবকয়টি হেরে শেষে অবস্থান করছে হংকং।