Image description

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) দীর্ঘদিন ধরে বাহাত্তুরের সংবিধান বাতিল করে নতুন সংবিধান প্রণয়নের দাবি করে আসছে। নতুন সংবিধান প্রণয়ন এবং কাঙ্ক্ষিত সংস্কার না হলে এনসিপি আসন্ন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে কি না, সে বিষয়ে রাজনৈতিক বৃত্তে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। এই প্রসঙ্গে এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ সোমবার একটি গণমাধ্যমের সঙ্গে একান্ত কথায় তাঁর অবস্থান স্পষ্ট করেছেন।

ফেব্রুয়ারির আগে সংবিধান সংস্কার এবং নতুন সংবিধান প্রণয়ন না হলে এনসিপি কি নির্বাচন ঠেকাবে—এমন প্রশ্নে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, "এটা তেমন না। আমরা সবাই চেষ্টা করছি নির্বাচন হওয়ার জন্য। ভোটের আগেই নতুন সংবিধান প্রণয়ন করতে হবে। তবে সামগ্রিক প্রচেষ্টা ঘোষিত সময়ের মাঝে নির্বাচন আয়োজনের। সংবিধান সংস্কার, নতুন সংবিধান প্রণয়ণ এবং নতুন সংবিধান কিভাবে প্রণয়ন হবে! এটার তো একটা পদ্ধতি রয়েছে। সেই জায়গাগুলো যদি যারা এক না করে এবং ঐক্যমতে না এসে তারা যদি নির্বাচনে যেতে চায়, তার মানে তারা নির্বাচন হোক চাচ্ছে না।"

শর্তগুলো পূরণ না হলে এনসিপির প্রতিক্রিয়া কী হবে, জানতে চাইলে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, "আমরা চাই নির্বাচন আয়োজিত হোক ঠিক সময়ের মধ্যে। বারবার বলেছি এই জায়গায় আমাদের আপত্তি নেই। ফেব্রুয়ারি কেন, এটা ডিসেম্বরেও হতে পারত। কিন্তু শর্তগুলো পূরণ করতে হবে। যারা নির্বাচন পেছাতে চায় তারা মূলত বাস্তবায়নের এই বিষয়গুলো কোনো না কোনো ভাবে এড়িয়ে গিয়ে এই নির্বাচন করতে চায়। বিষয়টি সন্দেহের সৃষ্টি করছে।"

এনসিপির পক্ষ থেকে বারবার বলা হয়েছে যে, লিখিত নতুন সংবিধান পেলে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটবে। তবে কোনো কারণে যদি সরকার এটি করতে ব্যর্থ হয় অথবা নির্বাচন ঠিক সময়ে আয়োজন না করে, তাহলে এনসিপি কী পদক্ষেপ নেবে? তারা কি নির্বাচন বন্ধ করে দেবে?

এই প্রশ্নের জবাবে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, "কোনো রাজনৈতিক দল নির্বাচন ঠেকাতে পারে না। সেক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন আয়োজন করতে ব্যর্থ হয়েছে কিনা, সেদিকে নজর দিতে হবে। রাজনৈতিক দলের কোনো এখতিয়ার নেই যে নির্বাচন ঠেকিয়ে দেবে। সরকার কতটা আয়োজনে সফল হচ্ছে সেদিকে নজর রাখব।"

এনসিপির এই অবস্থান থেকে বোঝা যায় যে, তারা নির্বাচনের পক্ষে কিন্তু মৌলিক শর্তগুলো পূরণ ছাড়া কোনো অগ্রগতি সমর্থন করবে না। রাজনৈতিক বৃত্তে এই বক্তব্য নতুন আলোচনার সূত্রপাত করেছে।