
বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার চত্বরে সুবিশাল কড়ই রেন্টি ও শিমুল গাছে শামুকখোল পাখির অভয়ারন্য গড়ে উঠেছে। খাদ্য ও নিরাপদ আবাসস্থলের নিশ্চয়তা পেয়ে দূরদূরান্ত থেকে আসা কয়েক হাজার শামুকখোল এসে আশ্রয় নিয়েছে গাছগুলোতে। হাজারো পাখির কলকাকলিতে মুখরিত গোটা এলাকা।
গাছের মগডালের শাখা-প্রশাখার সবুজ পাতার আড়ালে উঁকি দিচ্ছে হাজার হাজার সাদা-কালো বাহারি পাখি। শরতের আকাশে পেঁজা তুলোর মত ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ছে অসংখ্য পাখি। উপজেলা চত্বরে পাশে রয়েছে সু-বিশাল কড়ই, শিমুল, বটগাছ। এ গাছগুলোতে ঝাঁকে ঝাঁকে শামুকখোল পাখি সংসার পেতে নিরাপদ প্রজননের মাধ্যমে বংশবিস্তার করছে। এমন নিরাপদ প্রজননের অনুকূল পরিবেশ পেয়ে দিন দিন বাড়ছে পাখির সংখ্যা। প্রতিটি বাসায় এসেছে ৩/৪টি করে নতুন অতিথি। মা পাখিরা ব্যস্ত এদের সামলাতে। বাবা পাখিরা ব্যস্ত বিভিন্ন জলাশয় থেকে খাদ্য সংগ্রহে। অন্য পাখিদের সময় কাটছে নিজেদের মধ্যে খুনসুটি করে।
সরেজমিনে দেখা যায়, নগরায়ণ আর ব্যস্ত শহরে পাখপাখালির শুধুই কলকাকলি, শরতের আকাশে উড়ে বেড়ানো বাউল মেঘের ভেলা, চারদিকের সবুজের নৈসর্গিক দৃশ্য সেখানে এক মোহনীয় পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। এমন দৃশ্য স্থানীয়রাও খুঁজে পেয়েছে বিনোদনের খোড়াক, উদাসি করে তুলেছে পাখিপ্রেমীদের। স্থানীয়দের ভালবাসা উপজেলার পাশ দিয়ে বয়ে গেছে তুলাতুলি নদী নদীর চর থেকে খাবার সংগ্রহ করে নিয়ে আসেন পাখি, উপজেলা প্রশাসনের সখ্যতায় এমনই অনাবিল পরিবেশ সৃষ্টি করেছে এসব পাখি। মানুষ আর পাখপাখালির মিলেমিশে বসবাস সচরাচর চোখে পড়েনা।
উপজেলার বাসিন্দা জসিম খান জানান ,উপজেলার চারপাশ পাখিদের খাদ্য আহরণে রয়েছে, উপজেলার পাশ দিয়ে বয়ে গেছে তুলাতুলি নদী সেই নদীচর থেকে। এসব জলাশয়গুলোতে প্রচুর মাছ ও শামুক পাওয়া যায়। তাই বছরের ৫/৬ মাস এত পাখির দেখা মেলে। এখানে কাউকে পাখি শিকার করতে দেওয়া হয়না। তবে উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় উপজেলা এলাকায় পাখি সংরক্ষণ কমিটির প্রয়োজন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জনসচেতনতা গড়ে তুলতে এলাকায় পাখি শিকার নিষিদ্ধ ও দণ্ডনীয় অপরাধ- এই মর্মে জেল-জরিমানা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে প্রচারসহ সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়ে দিলে পাখির আরো অভয়ারণ্য বাড়বে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুমানা আফরোজ বলেন, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপজেলা এলাকাকে পাখির অভয়ারণ্য গড়ে তুলতে প্রয়োজনীয় কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
Comments