
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রকাশের নির্দেশ রুখে দিয়েছেন দিল্লি হাইকোর্ট। আজ সোমবার একক বেঞ্চের বিচারপতি সচিন দত্তা কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনের (সিআইসি) নির্দেশ খারিজ করে দেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শিক্ষাগত ডিগ্রি কতদূর-তা জানতে চেয়ে একটি মামলা হয়েছিল দিল্লি হাইকোর্টে।
হিন্দুস্তান টাইমস বলছে, ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে এক আরটিআই আবেদনের প্রেক্ষিতে সিআইসি জানিয়েছিল, ১৯৭৮ সালে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএ পাশ করা ছাত্রছাত্রীদের নামের তালিকা পরিদর্শনের অনুমতি দেওয়া হবে। সেই তালিকায় ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। তবে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় শুরু থেকেই এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে জানানো হয়, শিক্ষার্থীদের তথ্য তারা ‘আস্থাভিত্তিক ক্ষমতায়’ সংরক্ষণ করে। কেবল কৌতূহল মেটাতে এমন ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ করা আরটিআই আইনের আওতায় পড়ে না। ২০১৭ সালের জানুয়ারিতেই সিআইসির নির্দেশে স্থগিতাদেশ জারি করেছিল দিল্লি হাইকোর্ট। আজ সোমবারের রায়ে কার্যত সেই স্থগিতাদেশ বহাল থাকল।
দিল্লি হাইকোর্টে শুনানির সময় দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে ছিলেন তুষার মেহতা। তিনি যুক্তি দেন, তথ্য জানার অধিকার আইনের চেয়ে ব্যক্তিগত গোপনীয়তার অধিকার বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাঁর কথায়, ‘কোনো ব্যক্তির ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ করা উচিত নয়। তাই কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশন যে নির্দেশ জারি করেছিল, তা বাতিল করা হোক।’
সোমবার দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি শচীন দত্ত দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের আপিল মঞ্জুর করেন। আদালত স্পষ্ট জানিয়েছে, ‘সিআইসির নির্দেশ বাতিল করা হচ্ছে।’
এই রায়ের ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থানই শেষ পর্যন্ত আইনি স্বীকৃতি পেল। ফলে দেশের প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট জনসমক্ষে প্রকাশ করা বাধ্যতামূলক নয়।
Comments