
হোয়াইট হাউস দাবি করেছে যে, চলতি বছরের মে মাসে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যেকার সংঘাত পারমাণবিক যুদ্ধে রূপ নিতে পারত, কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হস্তক্ষেপে তা থেমে যায়। হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট সাংবাদিকদের জানান, মাত্র সাত মাসে ট্রাম্প বিশ্বজুড়ে সাতটি সংঘাতের অবসান ঘটিয়েছেন।
বুধবার টিআরটি ওয়ার্ল্ড-এর এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
লেভিট বলেন, ট্রাম্প বাণিজ্যকে শক্তিশালী হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে ভারত-পাকিস্তানের সংঘাত থামিয়েছেন। তিনি দাবি করেন, “ভারত-পাকিস্তান সংঘাত পারমাণবিক যুদ্ধের দিকে যেতে পারত, যদি আমাদের প্রেসিডেন্ট না থাকতেন।” লেভিটের মতে, ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা ও প্রভাব কীভাবে ব্যবহার করতে হয় তা ভালো করেই জানেন।
ভারত-শাসিত কাশ্মীরে এক হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা শুরু হয়। ভারত এই হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে, যদিও পাকিস্তান এই অভিযোগ অস্বীকার করে। দুই দেশের মধ্যে চার দিন ধরে চলা এই সংঘাতে ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা হয়। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৭০ জন নিহত হন। পরে ট্রাম্পের হস্তক্ষেপে যুদ্ধবিরতি ঘোষিত হয়।
এই ঘটনার পর চলতি বছরের জুনে পাকিস্তান সরকার ট্রাম্পকে ২০২৬ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করে। তাদের মতে, ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা প্রশমন এবং কাশ্মীর ইস্যুতে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দেওয়াই এই মনোনয়নের কারণ।
তবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সংসদে এক বিতর্কে দাবি করেছেন, কোনো বিশ্বনেতা তাদের সামরিক অভিযান থামাতে বলেননি। তার মতে, “কোনো বিশ্বনেতা আমাদের অপারেশন থামাতে বলেননি।”
Comments