Image description

রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার খাড়ইল গ্রামে ঋণের বোঝা সইতে না পেরে আকবর হোসেন (৫০) নামে এক কৃষক আত্মহত্যা করেছেন। তিনি অন্তত ১১টি এনজিও এবং স্থানীয় সুদ কারবারিদের কাছ থেকে প্রায় ৬ থেকে ৭ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। সোমবার সকালে নিজের পান বরজে গলায় ফাঁস দিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন।

আকবর হোসেনের ছেলে সুজন শাহ জানিয়েছেন, তার বাবা একটি এনজিও থেকে চার লাখ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। কিন্তু এবার পানের দাম না পাওয়ায় ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে হিমশিম খাচ্ছিলেন। প্রতিদিন কিস্তির জন্য এনজিওর কর্মীরা চাপ দিতেন, আর সেই চাপেই তার বাবা আত্মহত্যা করেছেন।

সুজন জানান, তার বাবার ঋণ ছিল ব্র্যাক, আশা, প্রশিকা, ভার্ক, ডিএফইডি, শাপলা গ্রাম উন্নয়ন সংস্থা, রিক, ইএসডিও, গ্রামীণ প্রচেষ্টা, পল্লী মঙ্গল কর্মসূচি (পিএমকে) এবং গ্রামীণ উন্নয়ন কেন্দ্র (গাক) নামের এনজিওগুলোতে।

মোহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান বলেন, আকবর হোসেনের পান বরজে লোকসান হওয়ায় তিনি ঋণ পরিশোধ করতে পারেননি এবং হতাশা থেকে আত্মহত্যা করেছেন। 

নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। তিনি আরও বলেন, পরিবার যদি এনজিওর নামে আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলা করে, তবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে নিহতের পরিবার মামলা করতে রাজি নয়।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি ঋণের চাপে ও খাবারের অভাবে আত্মহত্যা ও হত্যাকাণ্ডের আরও একটি ঘটনা ঘটেছিল। গত বৃহস্পতিবার রাতে মিনারুল নামের এক ব্যক্তি তার স্ত্রী ও দুই সন্তানকে হত্যার পর চিরকুট লিখে নিজেও আত্মহত্যা করেন।