Image description

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলায় গরু চুরির ঘটনা বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষকদের মধ্যে উদ্বেগ ছড়িয়েছে। গত দুই মাসে প্রায় ৪৩টি গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে। এ অবস্থায় গ্রামবাসীরা রাত জেগে পালাক্রমে পাহারা দিচ্ছেন, তবুও চুরির ঘটনা ঠেকানো যাচ্ছে না। গণমাধ্যমে এ বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশের পর রায়গঞ্জ থানা পুলিশ গরু চুরি রোধে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

পুলিশ স্থানীয় গ্রামপুলিশের সমন্বয়ে উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বাঁশ কল স্থাপন শুরু করেছে, যাতে চুরি হওয়া গরু পরিবহনকারী যানবাহন রাতের বেলা দ্রুত পালাতে না পারে। ধামাইনগর ইউনিয়নের ধামাইনগর, শালিয়াগাড়ী এবং চান্দাইকোনা ইউনিয়নের রুদ্রপুর বাজার এলাকায় ইতিমধ্যে বাঁশ কল বসানো হয়েছে। এছাড়া, প্রতিটি গ্রামে ‘গ্রাম কমিটি’ গঠন ও জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য আলোচনা সভার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই উদ্যোগকে স্থানীয় সচেতন মহল সাধুবাদ জানিয়েছেন।

স্থানীয় বাসিন্দা আলামিন তালুকদার বলেন, “গরু চোরের উপদ্রব বেড়ে যাওয়ায় আমরা দুশ্চিন্তায় আছি। গ্রামের লোকজন প্রতি রাতে পালাক্রমে পাহারা দিচ্ছেন, কিন্তু তবুও চুরি ঠেকানো যাচ্ছে না।”

রায়গঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম মাসুদ রানা বলেন, “গরু চুরিসহ যেকোনো অপরাধ রোধে পুলিশ সদস্যরা আন্তরিকভাবে কাজ করছেন। রাতে টহল টিম গুরুত্বসহকারে দায়িত্ব পালন করছে। কৃষক ও খামারিদের একত্রিত হয়ে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনসহ পুলিশকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানাচ্ছি। সন্দেহজনক কিছু দেখলে তাৎক্ষণিক পুলিশকে জানালে অপরাধীদের ধরতে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করব।”

তিনি আরও জানান, গ্রাম কমিটি গঠন, বাঁশ কল স্থাপন, রাত্রিকালীন পাহারা এবং সচেতনতামূলক আলোচনা সভার মাধ্যমে গরু চুরি রোধে কাজ চলছে। তিনি মাদককারবারি ও কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধেও সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রদানের জন্য গ্রামবাসীদের প্রতি আহ্বান জানান।