Image description

গাজীপুরের শ্রীপুরে বসতঘর থেকে আরিফা ইয়াসমিন (২৪) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে তার স্বামী রশিদ মিয়া পলাতক রয়েছেন। স্বজনদের অভিযোগ, রশিদ তার স্ত্রীকে হত্যা করে আত্মগোপনে চলে গেছেন। বুধবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার কেওয়া পূর্বখন্ড গ্রামের আবু আলীর বাড়ির একটি কক্ষ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

আরিফা ইয়াসমিন নেত্রকোনার সদর থানার পাঁচ কাফনীয়া গ্রামের সবুজ মিয়ার মেয়ে এবং শ্রীপুরের বরমী ইউনিয়নের বড়নল গ্রামের রশিদ মিয়ার স্ত্রী। তিনি স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন।

বাড়ির অন্যান্য বাসিন্দারা জানান, মঙ্গলবার রাতে রশিদ মিয়া তার অন্য এক স্ত্রীকে নিয়ে ওই বাড়িতে এসে রাত্রিযাপন করেন। বুধবার সকালে আরিফার এক স্বজনকে ফোন করে রশিদ তার অসুস্থতার কথা জানান। ওই স্বজন ঘটনাস্থলে এসে ঘরের দরজা খোলা দেখে ভেতরে আরিফার নিথর মরদেহ দেখতে পান। ঘটনার সময় আরিফার দুই সন্তান ও স্বামী ঘটনাস্থলে ছিলেন না।

আরিফার ছোট বোন শিফা আক্তার অভিযোগ করেন, “বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আমার বোনের সঙ্গে তার স্বামীর মনোমালিন্য চলছিল। সন্তানদের ভরণপোষণ না দেওয়া এবং একাধিক স্ত্রী থাকার কারণে গত ২৮ মার্চ আমার বোন রশিদকে স্বেচ্ছায় তালাক দিয়েছিলেন। এরপর রশিদ পুনরায় বিয়ে করার জন্য চাপ দিতে থাকেন এবং বিয়ে না করলে ছেলেমেয়েকে মারধর ও হত্যার হুমকি দেন। এই ঘটনায় গত ৩ মে শ্রীপুর থানায় একটি অভিযোগও দায়ের করেছিলেন আরিফা। আমরা ধারণা করছি, এসবের জেরে তাকে হত্যা করা হয়েছে।”

বাড়ির মালিক মো. আবু আলী বলেন, “ফোনে খবর পেয়ে আরিফার এক স্বজন এসে ঘরের ভেতর বিছানায় তার মরদেহ দেখতে পান। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।”

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল বারিক জানান, “প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, স্বামী রশিদ মিয়া তার স্ত্রী আরিফাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পালিয়েছেন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”