জাজিরায় পদ্মার ভাঙন রোধে স্থায়ী বাঁধের দাবি, তিন দিনের আল্টিমেটাম

শরীয়তপুরের জাজিরায় পদ্মা সেতু প্রকল্প এলাকা রক্ষা বাঁধ ও আশপাশের ভাঙন রোধে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ এবং গৃহহীনদের পুনর্বাসনের দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১১ আগস্ট) সন্ধ্যায় নাওডোবা ইউনিয়নের মঙ্গলমাঝি–সাত্তার মাদবর বাজারে এই কর্মসূচি পালিত হয়।
স্থানীয় বাসিন্দাসহ বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি, গণ অধিকার পরিষদ ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা সমাবেশে অংশ নেন। বক্তারা আগামী তিন দিনের মধ্যে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের প্রকল্প অনুমোদনের ঘোষণা না দিলে পদ্মা সেতু ব্লক করে দক্ষিণাঞ্চলের ২২ জেলার যোগাযোগ বন্ধ করার হুঁশিয়ারি দেন।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সরদার নাসির উদ্দিন, সাবেক অর্থ সম্পাদক মজিবুর রহমান, জামায়াতের জাজিরা উপজেলা আমির মাসুম বিল্লাহ, গণ অধিকার পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক ফিরোজ আহম্মেদ মুন্সি, এনসিপির যুগ্ম সমন্বয়কারী সবুজ তালুকদার, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক আহ্বায়ক ইমরান আল নাজির ও জাতীয় যুবশক্তির কেন্দ্রীয় সংগঠক আকরাম হোসেন।
গত বছরের নভেম্বর থেকে পদ্মার ভাঙনে রক্ষা বাঁধের প্রায় এক কিলোমিটার অংশ বিলীন হয়েছে। গত দুই মাসে বাঁধ সংলগ্ন ৩৫টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ৫৭টি বসতবাড়ি নদীগর্ভে তলিয়ে গেছে। ভাঙন আতঙ্কে ২৫০টি বসতঘর সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, এবং তিনটি গ্রামের প্রায় ৬০০ পরিবার ও মঙ্গলমাঝি–সাত্তার মাদবর ঘাট ও বাজারের ২৪০টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ঝুঁকিতে রয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক আহ্বায়ক ইমরান আল নাজির বলেন, “ভাঙনে শত শত মানুষ ভিটেমাটি হারিয়েছেন, কিন্তু কার্যকর পদক্ষেপ নেই। পানি উন্নয়ন বোর্ড দাবি করছে দেড় মাসে ১ লাখ ৩০ হাজার জিওব্যাগ ফেলা হয়েছে, কিন্তু এর স্বচ্ছ হিসাব চাই।”
শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী তারেক হাসান জানান, “রক্ষা বাঁধ সংস্কারের প্রস্তাব জমা দেওয়া হয়েছে। যাচাই-বাছাই শেষে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। অনুমোদন পেলে দ্রুত কাজ শুরু হবে। জিওব্যাগ ফেলার হিসাব স্বচ্ছভাবে রাখা হচ্ছে।”
Comments