Image description

চট্টগ্রাম নগরীর যানজট ও ট্রাফিক অব্যবস্থাপনা লাখো নগরবাসীর জীবনযাত্রাকে দুর্বিষহ করে তুলেছে। বায়ু দূষণ বৃদ্ধি, সময় নষ্ট এবং ধীরগতির জীবনযাত্রার এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সমন্বিত উদ্যোগের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।

রবিবার (১০ আগস্ট) বিকেলে বাংলাদেশ সিএনজি অটোরিকশা হালকা যান পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সঙ্গে আলোচনায় মেয়র বলেন, “নতুন সিএনজি অটোরিকশা অনুমোদনের আগে অবৈধ সিএনজি অটোরিকশার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। অন্যথায় যানজট আরও তীব্র হবে এবং নিয়ন্ত্রণ কঠিন হয়ে পড়বে।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, স্বয়ংক্রিয় ট্রাফিক সিগন্যাল, সিসিটিভি নজরদারি, ডিজিটাল জরিমানা, চেহারা শনাক্তকারী ক্যামেরা, আধুনিক জেব্রা ক্রসিং এবং পুশ বাটন সিস্টেম চালু করা জরুরি। এতে যানবাহন ও চালকদের দ্রুত শনাক্ত করে জরিমানা এবং পথচারী, শিশু ও প্রবীণদের নিরাপদে রাস্তা পারাপার নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

মেয়র জানান, অপরিকল্পিত রাস্তা ও অপর্যাপ্ত ট্রাফিক ব্যবস্থার কারণে নগরবাসী দৈনন্দিন দুর্ভোগের মধ্যে রয়েছে। এই যানজট শুধু নগরবাসীকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে না, দেশের অর্থনীতিতেও বিরূপ প্রভাব ফেলছে। তিনি বলেন, “যোগাযোগ ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো ছাড়া অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি সম্ভব নয়।” তিনি ফুটপাত, ফুটওভারব্রিজ এবং স্কুল-কলেজ ও হাসপাতালের সামনে শক্তিশালী ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দেন।

আলোচনায় শ্রমিক নেতারা সিএনজি ও অটোটেম্পু খাতে তাদের বিরুদ্ধে হয়রানি ও অন্যায়ের অভিযোগ তুলে ধরেন। নগর প্রশাসন, বিআরটিএ, পুলিশ ও সিডিএসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো এই সমস্যা সমাধানে সমন্বিতভাবে কাজ করছে। মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন মনে করেন, শিল্পপতি, শ্রমিক, প্রশাসন ও সাধারণ মানুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমেই চট্টগ্রামকে যানজটমুক্ত করা সম্ভব।