Image description

যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের পণ্যে পারস্পরিক শুল্ক ৩৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশে নামিয়ে এনেছে। এই ঘোষণার পর শুক্রবার ভারতের পোশাক বাজারের শেয়ারে দরপতন হয়েছে।

গত ৮ জুলাই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন। সেই চিঠিতে তিনি জানিয়েছিলেন যে, ১ আগস্ট থেকে বাংলাদেশি পণ্যে ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। তবে, পরবর্তীতে আলোচনা ও কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পর তিনি এই শুল্কের পরিমাণ ২০ শতাংশে নামিয়ে আনেন। এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের রপ্তানি খাত, বিশেষ করে পোশাক শিল্পের জন্য একটি ইতিবাচক খবর, যা আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতার সুযোগ বাড়াতে সাহায্য করবে।

অপরদিকে ভারতের পণ্যে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। যা আজ থেকে কার্যকর হয়েছে।

বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রে বিপুল পরিমাণ তৈরি পোশাক রপ্তানি করে। ভারত দীর্ঘদিন ধরেই এ বাজারটি ধরার চেষ্টা করছে। কিন্তু প্রযুক্তি ও শ্রমের সহজলভ্যতার কারণে বাংলাদেশ এগিয়ে আছে। তবে গত মাসে যখন বাংলাদেশের ওপর ট্রাম্প ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন তখন ভারতের বাজার বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে যায়। ওই সময় দেশটির পোশাকের বাজারের শেয়ারের দামও বৃদ্ধি পায়। কিন্তু নতুন শুল্ক ঘোষণার পর পাল্টে যেতে থাকে চিত্র।

বাংলাদেশের ওপর শুল্ক কমানোর ঘোষণা দেওয়ার পরই ভারতের কেপিআর মিলসের শেয়ার ৫ শতাংশ, ওয়েলসপুন লিভিংয়ের শেয়ার ২ শতাংশ, অলোক ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ার ০ দশমিক ৮ শতাংশ, পিয়ার্ল গ্লোবালের শেয়ার ৩ দশমিক ৭ শতাংশ, গোকূলদাস এক্সপোর্টের শেয়ার ২ দশমিক ৬ শতাংশ, কিটেক্স গার্মেন্টসের শেয়ার ৩ দশমিক ২১ শতাংশ এবং বর্ধমান টেক্সটাইলের শেয়ার ২ দশমিক ৮ শতাংশ কমে যায়।

অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পাকিস্তান বাণিজ্য চুক্তি করেছে। এরফলে দেশটির পণ্যে ১৯ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে দেশটি। যেখানে গত এপ্রিলে আরোপ করা হয়েছিল ২৯ শতাংশ শুল্ক। এছাড়া পাকিস্তানের সঙ্গে যৌথভাবে তেল অন্বেষণেও চুক্তিবদ্ধ হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

এদিকে শুল্কে যে সর্বশেষ পরিবর্তন যুক্তরাষ্ট্র এনেছে এতে দেখা গেছে, ৫০টিরও বেশি দেশের শুল্ক আগের তুলনায় কমানো হয়েছে। যারমধ্যে দক্ষিণ এশিয়া ও আসিয়ানভুক্ত দেশগুলো রয়েছে। এই অঞ্চলের মধ্যে শুধুমাত্র ব্যতিক্রম ভারত। যেখানে দেশটির ওপর পূর্বে ঘোষিত ২৫ শতাংশ শুল্ক বহাল রাখা হয়েছে।

সূত্র: আপস্টক্স