
ভারতের বিরোধীদলীয় নেতা রাহুল গান্ধী দেশের অর্থনীতিকে ‘মৃত’ বলে আখ্যা দিয়েছেন এবং বলেছেন যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই সত্যটি শনাক্ত করতে পেরেছেন। বৃহস্পতিবার টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, "আপনারা দ্বিধায় আছেন? সারা পৃথিবী জানে, বিজেপি ভারতের অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে। কীভাবে? আদানিকে সহায়তা করে।"
রাহুল গান্ধীর এই মন্তব্য এমন এক সময়ে এলো, যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারত থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারত থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। স্থানীয় সময় বুধবার ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে এক পোস্টে বলেন, রাশিয়ার তেল ও অস্ত্র কেনার জন্য ১ আগস্ট থেকে ভারতের ওপর এই জরিমানা কার্যকর হবে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই সিদ্ধান্ত ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনাকে আঘাত করতে পারে। রেটিং এজেন্সি ইক্রার প্রধান অর্থনীতিবিদ অদিতি নায়ার এক বিবৃতিতে বলেন, "যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত শুল্ক ও জরিমানা আমাদের প্রত্যাশার চেয়ে বেশি। এটি ভারতের জিডিপি প্রবৃদ্ধির জন্য বাধা সৃষ্টি করতে পারে।" শুল্ক বৃদ্ধির প্রতিকূল প্রভাবের কারণে ইকরা আগেই এই অর্থবছরে ভারতের জন্য তাদের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) পূর্বাভাস ৬.৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৬.২ শতাংশ করেছে।
কয়েক মাস ধরে বাণিজ্য চুক্তি করতে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বেশ কয়েক দফা আলোচনা হয়েছে। দিল্লি যুক্তরাষ্ট্রকে সন্তুষ্ট করতে বোর্বন হুইস্কি ও মোটরসাইকেলের মতো পণ্যে শুল্ক কমিয়েছিল। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের বাণিজ্য ঘাটতি ৪ হাজার ৫০০ কোটি ডলারের। ট্রাম্পের প্রধান লক্ষ্য এই ঘাটতি কমানো।
ট্রাম্পের শুল্ক ঘোষণার পর ভারতজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। অর্থনীতিবিদ, বিশেষজ্ঞ ও শিল্প খাতের সংশ্লিষ্টরা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। ভারতের শিল্প খাতের এফআইসিসিআইর প্রেসিডেন্ট হর্ষবর্ধন আগারওয়াল এই সিদ্ধান্তকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলে বর্ণনা করেছেন এবং জানান, এই শুল্ক স্পষ্টভাবে রপ্তানিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
Comments