Image description

মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরের অন্যতম ব্যস্ততম বাণিজ্যিক এলাকা জালান মসজিদ ইন্ডিয়ায় মঙ্গলবার এক বড় পরিসরের অভিবাসন অভিযান চালিয়েছে মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগ (জাবাতান ইমিগ্রেশন মালয়েশিয়া বা জিম)। এই অভিযানে ১৭১ জন অবৈধ অভিবাসীকে আটক করা হয়েছে, যার মধ্যে বাংলাদেশিরাও রয়েছেন।

এই অভিযানটি সকাল ১০টা থেকে শুরু হয় এবং এতে অংশ নেন ১৬০ জনের বেশি অভিবাসন বিভাগের কর্মকর্তা। অভিযানের নেতৃত্ব দেন অভিবাসন বিভাগের প্রয়োগ বিভাগের পরিচালক তুয়ান হাজি বাসরি ওসমান এবং সহকারী পরিচালক মেগাত পুতেরা নিযাম মেগাত হুসসিন। খবর বারনামার। 

অভিযান চলাকালে মোট ৭৫৮ জনের পরিচয় যাচাই করা হয়, যাদের মধ্যে ১৭১ জনের বিরুদ্ধে অভিবাসন আইনের বিভিন্ন ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আটককৃতদের বেশিরভাগই ভারত, বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়ার নাগরিক।

এক প্রেস কনফারেন্সে বাসরি ওসমান জানান, ‘এই অভিযান পূর্ব-সংগ্রহিত গোয়েন্দা তথ্য এবং জনসাধারণের অসংখ্য অভিযোগের ভিত্তিতে পরিচালিত হয়েছে। যারা আইন লঙ্ঘন করছেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

তিনি আরও জানান, অভিযান চলাকালে কিছু বিদেশি নাগরিক দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন, কেউ কেউ দোকানের ভেতর নিজেকে ক্রেতা হিসেবে ভান করে লুকাতে চান। তবে অফিসারদের দ্রুত পদক্ষেপে বেশ কয়েকজনকে ঘটনাস্থলেই আটক করা হয়েছে।

বৃষ্টির কারণে কিছু বাহিরের এলাকা তল্লাশিতে বাধা সৃষ্টি হলেও অভিযান কার্যকরভাবে সম্পন্ন হয়েছে বলে জানান কর্মকর্তারা।অভিযানে ধরা পড়া অপরাধগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল, বৈধ পরিচয়পত্রের অনুপস্থিতি,কাজের অনুমতির শর্ত লঙ্ঘন,ভিসার মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়া সত্ত্বেও অবস্থান,জাল বা ভুয়া কাগজপত্র বহন করা।

বাসরি ওসমান সতর্ক করে বলেন, ‘দেশের শ্রমবাজারে শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিয়মিতভাবে এ ধরনের অভিযান পরিচালিত হবে। অবৈধ অভিবাসীদের আশ্রয় দেওয়া বা নিয়োগের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগ জানিয়েছে, আটককৃতদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে এবং প্রয়োজনে ইমিগ্রেশন আইন ১৯৫৯/৬৩ অনুযায়ী বিচারিক প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। এই ধরনের অভিযান অভিবাসন আইনের যথাযথ প্রয়োগ, জননিরাপত্তা বজায় রাখা এবং অবৈধ অভিবাসন রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে অভিবাসন বিভাগ মনে করছে।