Image description

"কুয়াকাটা বাঁচাও , পর্যটন বাঁচাও" শ্লোগান লেখা প্ল্যাকার্ড, ব্যানার হাতে নিয়ে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকত রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন, পর্যটন শিল্পের বিনিয়োগ কারী, পর্যটক সহ স্থানীয় সাধারণ মানুষ। 

শনিবার (২৬ জুলাই) বেলা ১১টায় কুয়াকাটা ট্যুরিজম পার্ক সংলগ্ন সৈকত  সড়কে কয়েকশ' মানুষের অংশগ্রহণে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

এতে স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের ব্যানার হাতে কুয়াকাটা প্রেসক্লাব, কুয়াকাটা পৌর বিএনপি, বাংলাদেশ জামায়েতে ইসলাম, কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল এমপ্লিয়জ এসোসিয়েশন, কুয়াকাটা ভয়েস ক্লাব, কুয়াকাটা টুরিস্ট বোট মালিক সমিতি, কুয়াকাটা ট্যুর অপারেটর এসোসিয়েশন (টোয়াক), কুয়াকাটা খাবার রেস্টুরেন্ট মালিক সমিতি, কুয়াকাটা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি, কুয়াকাটা শিল্পী গোষ্ঠী, সুহৃদ সমাবেশ, কুয়াকাটা ফটোগ্রাফার অ্যাসোসিয়েশন, পর্যটক সহ স্থানীয়রা এতে অংশ নেয়। 

এসময় বক্তারা বলেন, সমুদ্রের অব্যাহত ভাঙনে সৈকতের সৌন্দর্য্য ও পরিবেশ ধ্বংসের দার প্রান্তে পৌঁছে গেছে। ফলে পর্যটকদের আগ্রহ কমে যাচ্ছে, যা কুয়াকাটার পর্যটন অর্থনীতির জন্য হুমকি। তাই তারা দ্রুত সৈকতের সৌন্দর্য্য রক্ষা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নতকরণ, সৈকতের অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ এবং ট্যুরিস্ট ফ্যাসিলিটিজ বৃদ্ধির দাবিতে সরকারের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

মানববন্ধনে অংশগ্রহনকারীদের অভিযোগ, গত কয়েক বছর যাবত সৈকত রক্ষায় একাধিক প্রকল্প প্রস্তাবনা পাঠালেও রহস্যজনক কারণে তা আলোর মুখ দেখেনি। আমরা ভাঙ্গন রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানাই। 

ঘণ্টাব্যাপী এই মানববন্ধনে প্ল্যাকার্ড ও ব্যানার হাতে নিয়ে অংশগ্রহণকারীরা আরো বলেন, কুয়াকাটা আমাদের জাতীয় সম্পদ, একে রক্ষা করা সবার দায়িত্ব।

এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড কলাপাড়া সার্কেলের সহকারী প্রকৌশলী সৈয়দ তারিকুজ্জান তুহিন বলেন, নিন্মচাপ ও জোয়ারের ঢেউয়ের তান্ডবে গত দুই দিনে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে ব্যাপক ভাঙ্গন সৃষ্টি হয়েছে। যা আমরা পরিদর্শন করে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নিয়েছি। আগামীকাল থেকে জিও ব্যাগ ও জিও টিউব স্থাপনের কাজ শুরু করবো। এতে অস্থায়ীভাবে কিছুটা হলেও ভাঙ্গন রোধে ভূমিকা রাখবে।