কেন্দুয়ায় কাজ না করেই প্রকল্পের বিল উত্তোলন ইউপি সদস্যের

নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলার ১০ নং কান্দিউড়া ইউনিয়নের রাজিবপুর গ্রামের (দীঘলকুর্শা ২নং ওয়ার্ড) এর ইউপি সদস্য শাপলা আক্তার সরকারি উন্নয়ন প্রকল্পের কোন কাজ না করেই প্রকল্পের বিল তুলে আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এবিষয়ে ওই ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সেলিম মিয়া সহ রাজিবপুর (দীঘলকুর্শা) গ্রামের একাংশ কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর ইউপি সদস্য শাপলা আক্তারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
লিখিত অভিযোগ মারফত জানা গেছে, উপজেলার ১০ নং কান্দিউড়া ইউনিয়নের রাজিবপুর গ্রামের দীঘলকুর্শা ২ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শাপলা আক্তারের নিজের বসতবাড়ির সামনে থেকে একই ওয়ার্ডের গোলাম রাব্বানীর বাড়ি পর্যন্ত এবং একই ওয়ার্ডে পাতাইরা পাড়া পারিবারিক কবরস্থানের নামে প্রকল্প পাস করিয়ে কোন কাজ না করেই প্রকল্পের বিল উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন।
অর্থ আত্মসাতের অভিযোগকারী রাজিবপুর (দীঘলকুর্শা) গ্রামের বাসিন্দা এবং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সেলিম মিয়া বলেন, ইউপি সদস্য শাপলা আক্তারের স্বামী হারেছ মিয়া মারা যাবার পর আমাদের গ্রামবাসীর একক সিদ্ধান্তে বিনা ভোটে শাপলা আক্তারকে ইউপি সদস্য নির্বাচিত করা হয় কিন্তু, শাপলা আক্তার আমাদের ওয়ার্ডের রাস্তা সংস্কার, কবরস্থানে মাটিভরাট নামে সরকারি প্রকল্প এনে কাজ না করেই প্রকল্পের বিল উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছে। তাই আমরা গ্রামবাসী তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দিতে বাধ্য হয়েছি।
একই গ্রামের বাসিন্দা মাসুদ মল্লিক জানান, শাপলা আক্তার তাঁর নিজ বাড়ির সামন থেকে একই ওয়ার্ডের গোলাম রাব্বানীর বাড়ি পর্যন্ত এবং একই ওয়ার্ডে পাতাইরা পাড়া পারিবারিক কবরস্থানের নামে ১লাখ ৫০ হাজার টাকা কোন দৃশ্যমান কাজ না করেই আত্মসাৎ করেছে। আমি সহ গ্রামবাসী শাপলা আক্তারের অনিয়ম দুর্নীতির বিচার দাবী করছি।
এছাড়াও একাধিক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, একাধিক প্রকল্পের কাজ কাগজে-কলমে দেখানো হলেও সেসব জায়গায় কাজ করা হয়নি অথচ বিল উত্তোলন করা হয়েছে ঠিকই।
অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করে ইউপি সদস্য শাপলা আক্তার সাংবাদিকদের জানান, কবরস্থানের বিল উত্তোলন করে গ্রামবাসীর কাছে জমা রেখেছি এবং রাস্তার বিল উত্তোলন করে প্রশাসনের কাছে জমা রেখেছি বৃষ্টিবাদল কমলেই কাজ শুরু করবো তাছাড়া রাস্তার কিছু অংশে কাজও করেছি।
Comments