Image description

ছয় দাবিতে বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছেন মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা। ফলে কলেজের ৫ নম্বর ভবনে এখনও অবরুদ্ধ হয়ে আছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সি আর আবরার এবং প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। 

সরেজমিন বেলা দেড়টা নাগাদ দেখা যায়, উপদেষ্টারা আশ্রয় নিয়েছেন কলেজের ৫ নং ভবনে এবং মাঠে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা। অনেক অভিভাবকও যোগ দিয়েছেন শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে। তারা ‘আমার ভাই-বোন মরলো কেন’, ‘আমাদের ভাই-বোনের মরদেহ লুকানো হচ্ছে কেন’, ‌‘দুর্ঘটনার এত ঘণ্টা পার হয়ে গেলোম, কেন প্রকৃত মৃতের সংখ্যা জানাচ্ছে না সরকার’ ইত্যাদি স্লোগান দিচ্ছেন। 


দুপুরে কলেজের ৫ নম্বর ভবনের সামনে উপস্থিত হয়ে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল জানান, শিক্ষার্থীদের সব দাবি সরকার মেনে নিয়েছে।তবে এই ঘোষণার পরই পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। শিক্ষার্থীরা তাঁর ঘোষণাকে মিথ্যা দাবি করে ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগান দিতে শুরু করেন। ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ ধ্বনিতে কাঁপতে থাকে ক্যাম্পাস। উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা পুলিশের দিকে জুতা ও পানির বোতল ছুড়ে মারেন।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অতিরিক্ত পুলিশ দুপুর ১টা ১০ মিনিটে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে। এ সময় শিক্ষক উপদেষ্টা আসিফ নজরুলকে নিরাপদে সরিয়ে নিতে পুলিশ উপস্থিত হয়। এতে আরও ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন শিক্ষার্থীরা। তাঁরা পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন এবং ক্যাম্পাস থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রত্যাহারের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন।

পুলিশ ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধস্তাধস্তির ঘটনাও ঘটে। পরিস্থিতি উত্তাল হয়ে ওঠায় ৫ নম্বর ভবনের সামনে অবস্থান নেয় বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কলেজ ভবনের ভেতরে আটকা ছিলেন দুই উপদেষ্টা।

শিক্ষার্থীদের ৬ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে—
১. নিহতদের নাম-ঠিকানা প্রকাশ
২. আহতদের নির্ভুল তালিকা
৩. শিক্ষকদের সঙ্গে অসদাচরণের জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা
৪. ক্ষতিপূরণ প্রদান
৫. ঝুঁকিপূর্ণ প্রশিক্ষণ বিমান বাতিল
৬. প্রশিক্ষণ পদ্ধতির সংস্কার

ছাত্রদের দাবি, সহপাঠীর মৃত্যুতে দায় এড়াতে পারবে না কেউ। সঠিক তদন্ত ও জবাবদিহি না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।