Image description

আশুরার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আমল হলো রোজা রাখা। মুসলিমরা আশুরা উপলক্ষে সাধারণত দুই দিন রোজা রাখেন। এই রোজাগুলো ৯ ও ১০ জিলহজ অথবা ১০ ও ১১ জিলহজ রাখা হয়।

অর্থাৎ, ১০ মুহাররমের (আশুরার দিন) সঙ্গে ৯ মুহাররম অথবা ১১ মুহাররম মিলিয়ে দুই আশুরার রোজা রাখতে হয়। এই রোজা রাখার মাধ্যমে মুসলিমরা আল্লাহ তা'আলার নৈকট্য লাভের চেষ্টা করেন এবং এই দিনের তাৎপর্যকে স্মরণ করেন।

আশুরার রোজা সম্পর্কে নবী কারিম (সা.) বলেন, ‘আমি আশাবাদী যে, আশুরার রোজার কারণে আল্লাহ তাআলা অতীতের এক বছরের (সগিরা) গুনাহ ক্ষমা করে দেবেন।’ (সহিহ মুসলিম : ১/৩৬৭; জামে তিরমিজি : ১/১৫৮)

আরেক হাদিসে আশুরার রোজার ব্যাপারে আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত এক হাদিসে নবী করিম (সা.) বলেন, ‘রমজানের পর আল্লাহর মাস মহররমের রোজা হলো সর্বশ্রেষ্ঠ।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ২/৩৬৮; জামে তিরমিজি, হাদিস : ১/১৫৭)

আশুরার রোজার গুরুত্ব সম্পর্কে হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘আমি আল্লাহর রাসুল (সা.)-কে রমজান ও আশুরায় যেরূপ গুরুত্বের সঙ্গে রোজা রাখতে দেখেছি অন্য সময় তা দেখিনি।’ (সহিহ বুখারি : ১/২১৮)

কেউ কোনো কারণে আশুরায় রোজা রাখতে না পারলে মুহাররমের ফজিলতপূর্ণ সময়ে অন্যান্য নেক আমল করতে পারবেন। যেমন—

১. অসুস্থকে দেখতে যাওয়া।

২. দান-খয়রাত করা।

৩. বেশি বেশি নফল নামাজ পড়া।

৪. নিয়মিত জিকির করা।

৫. কোরআন তিলাওয়াত করা।

৬. আল্লাহর কাছে দোয়া ও তওবা করা।

৭. তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করা।

মনে রাখতে হবে, যেকোনো নেক আমলই আল্লাহ তায়ালার প্রিয় এবং তিনি নেক আমলের সওয়াব কয়েকগুণ বৃদ্ধি করে দেন। ফজিলতপূর্ণ সময়টি আমল ইবাদতে কাটানো উচিত। কোনোভাবে অবহেলায় কাটানো ঠিক নয়।