চাঁদা না দেয়ায় ইউপি চেয়ারম্যানকে লাঞ্চিত করার অভিযোগ ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে

নাটোরের বড়াইগ্রামে চাঁদা না দেয়ায় উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়কের বিরুদ্ধে ইউপি চেয়ারম্যানকে লাঞ্চিত করে পরিষদ থেকে বের করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
এদিকে, চাঁদা দাবির পক্ষে-বিপক্ষে চেয়ারম্যান ও উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক পালটা পালটি সংবাদ সম্মেলন করেছেন। এছাড়া চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ছাত্রদল নেতাকর্মীরা।
সংবাদ সম্মেলনে চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল আজাদ দুলাল জানান, রোববার উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জাহিদুল ইসলাম বিপুল ও ছাত্রদল কর্মী সৌরভসহ ১০-১২ জন নেতাকর্মী মাঝগাঁও ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে তার কাছে টাকা দাবি করেন। তিনি টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা চেয়ারম্যানকে অশ্লীল গালাগালি ও লাঞ্চিত করে। এরপর তারা চেয়ারম্যানকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে পরিষদ থেকে বের করে দেন এবং ভবিষ্যতে পরিষদে না যেতে শাসিয়ে যান। তারা টাকা না দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে গেলে চেয়ারম্যানকে প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দেন বলে দাবি করে তিনি নিজের জীবনের নিরাপত্তা বিধানসহ দায়ীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
অপরদিকে, সোমবার সন্ধ্যায় চাঁদা চাওয়া ও লাঞ্চিত করার অভিযোগটি উদ্দেশ্য প্রণোদিত অপপ্রচার দাবি করে তিরাইল বাজারে বিক্ষোভ মিছিল ও পথসভা করেছে মাঝগাঁও ইউনিয়ন ছাত্রদল। পরে রাতে পৃথক সংবাদ সম্মেলন করেন উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জাহিদ হাসান বিপুল। এ সময় তারা চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল আজাদ দুলালকে ফ্যাসিবাদের দোসর দাবি করে ছাত্রদল সভাপতির নামে পরিকল্পিত অপপ্রচারের জন্য তার বিচার ও পদ থেকে অপসারণের দাবি করেন।
চাঁদা দাবির অভিযোগ প্রসঙ্গে জাহিদ হাসান বিপুল বলেন, চেয়ারম্যান আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে। তিনি পরিষদে আওয়ামী লীগের দলীয় সভা করার খবর পেয়ে আমরা সেখানে গিয়েছিলাম। সেখানে তার সঙ্গে দু-একটি কথা হয়েছে। তাকে লাঞ্চিত বা চাঁদা চাওয়ার মতো কোন ঘটনা ঘটেনি।
বড়াইগ্রাম থানার পরিদর্শক গোলাম সারওয়ার হোসেন বলেন, এ ঘটনায় চেয়ারম্যানের স্ত্রী সুস্মিতা আক্তার সুইটি বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। এ ব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Comments